ভরপেট খাইয়ে পিটিয়ে হত্যা! ক্ষোভে পুড়ছে বাংলাদেশ
Beaten to death! Bangladesh is burning with anger

Truth Of Bengal: চোর সন্দেহভাজন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা। অভিযোগ, বুধবার বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের মধ্যেই তোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, মারাধর করার আগে মানবিকতার মুখোশ পরে ওই যুবককে ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়ে ভর পেট খাওয়ানো হয়। এই নৃশংস ঘটনা সামনে আসতেই বহু মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আট জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
ওপার বাংলার প্রথম সারির এক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, শেষ দু’দিনে ঢাকা ছাড়াও খাগড়াছড়ি ও জাহাঙ্গীরনগরে ঘটা আরও ২টি গণপিটুনির ঘটনা সামনে এসেছে। এর জেরে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনির জেরে নিহত ওই যুবকের নাম তোফাজ্জল হোসেন, বয়স ৩২। তার পরিবারের দাবি, ওই যুবকটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চলতি সপ্তাহের বুধবার রাতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে কোনভাবে ঢুকে পড়েছিলেন। ওই দিনই কয়েকদিন পরওয়ার মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছিল, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ যুবককে রাতে মধ্যে ঢুকতে দেখে তাকে চোর সন্দেহ করে পড়ুয়ারা। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। অভিযোগ এখানেই শেষ নয় জানা গিয়েছে, মাঝে মারধর থামিয়ে ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পেট ভরে খেতে দেয় ওই পড়ুয়ারা। তারপর অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে আবারও তার উপর শুরু হয় মারধর।
এই খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষকরা, মধু রাত বারোটার সময় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৬জন আবাসিক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ঢাকার একাধিক এলাকায় বিক্ষোভ চলে। এমনকি পড়ুয়াদের একাংশ এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদের জন্য মিছিলের আয়োজন করেছিলেন।