আন্তর্জাতিক

উত্তাল বাংলাদেশ! তৃতীয় দিনেও সচিবালয়ে জারি বিক্ষোভ

Bangladesh in turmoil! Protests continue at the Secretariat for the third day

Truth Of Bengal: টানা তৃতীয় দিন ধরে সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন মণ্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে যে বিক্ষোভ চলছিল সেই কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। সোমবারের পর মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করেছেন তারা। একই সঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচীর পালনের জনঅয সচিবালয়ের বাইরে সারা দেশেরসরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের আহব্বান জানিয়েছেন তারা। সরকারি কর্মচারী রা মিলে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ নামে কর্মসূচি যাওয়ার কথা বলেছেন তারা।

ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো.বাদিউল কবীর বলেন, ‘কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ‘কালো’ আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না করা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় সমবেত হওয়ার কথা জানান। উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠক হবে না বলে জানান, বাদিউল কবীর। বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার অর্থাৎ মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে ময়দানে সরকারি কর্মচারীরা। শনিবার-রবিবার টানা দুদিন ধরে বিক্ষোভ চলে পদ্মা পাড়ের দেশের সচিবালয়ে। বিক্ষোভ মিছিলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মচারীরা প্রত্যকেই যোগ দেন। চলে কর্মবিরতি।

রবিবার ইউনুসের সরকারের জারি করা অধ্যাদেশকে ‘কালা কানুন’ বলে কটাক্ষ করে। চার দশক ধরে বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারিদের লাগু রয়েছে অধ্যাদেশ। হাসিনার আমলে অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রথম সংশোধন হয়। সংশোধিত আইনেই ফের একবার সংশোধন করে নতুন খসরা তৈরী করেছে ইউনুসের উফদেষ্টা কমিটি। একাংশের দাবি,  সাড়ে চার দশক আগে আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার জেরে সরকারি কর্মীদের শাস্তি দেওয়া সরকারের কাছে সহজ। বর্তমানে দেশে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। আইন অনুযায়ী সবাই কর্মচারী।

Related Articles