আন্তর্জাতিক

স্থলপথে রপ্তানি বন্ধে বড়সড় ধাক্কা বাংলাদেশের, আলোচনার বার্তা দিল ইউনুস সরকার

Bangladesh faces a major setback in land export, Yunus government has sent a message for discussion.

Truth of Bengal: ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞায় স্থলপথে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। ফলে নড়েচড়ে বসেছে ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সমস্যার সমাধানে আলোচনা চায় ঢাকা।

রবিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানান, “ভারতের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমরা অফিসিয়ালি কিছু জানি না। তবে যদি সমস্যা দেখা দেয়, দুই পক্ষ মিলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করব। ব্যবসা যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্য আমরা চেষ্টা করব।”

ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) গত শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে কিছু পণ্যের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক ও পিভিসি সামগ্রী এবং রঞ্জক। এসব পণ্য আর ভারতের মেঘালয়, মিজোরাম, অসম, ত্রিপুরা, চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে মাছ, এলপিজি ও ভোজ্যতেলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

এই পদক্ষেপে ভারতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেন, “ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা চলতে থাকা জরুরি।”

বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, স্থলপথে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা ভারত-বাংলাদেশ মোট বাণিজ্যের প্রায় ৪২ শতাংশ। কারণ, বাংলাদেশ তার ৯৫ শতাংশ রপ্তানি সড়কপথে করে থাকে। সমুদ্রপথে পাঠাতে হলে খরচ অনেক বেশি, যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বাংলাদেশের জন্য বড় চাপ।

ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের একটি ঘোষণার পর। সম্প্রতি ঢাকা জানায়, ভারত থেকে সুতো আমদানি স্থলপথে করা যাবে না, তা পাঠাতে হবে সমুদ্রপথে। এর প্রতিক্রিয়াতেই ভারতের এই কড়া পদক্ষেপ।

এই অবস্থায় চাপের মুখে বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বার্তা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, দুই দেশ কীভাবে এই সমস্যা মেটায়।

Related Articles