আন্তর্জাতিক

কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অগ্নিগর্ভ ঢাকা! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!

Anti-quota agitation in Bangladesh, Dhaka on fire! The number of dead increased to 32!

The Truth Of Bengal : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল দাবিতে উত্তাল ঢাকা! সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবি নিয়ে সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রতিনিধি বৈঠক করছেন। ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি।  তাঁদের দাবি, কোটা বিরোধী ইস্যু নিয়ে সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গেও ঝামেলা বাধে ছাত্রছাত্রীদের। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর, হামলা এবং মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ। এই ঘটনাগুলোতে অভিযুক্ত হিসেবে অজ্ঞাতপরিচয় অনেক শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩২!

জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই পড়ুয়া। তার মধ্যে মৃতের তালিকায় এক সাংবাদিকও রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মেহেদি নামে এক সাংবাদিক। তিনি স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী এবং আন্দোলনকারীরা। উত্তাল বাংলাদেশে শুধু যে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তা নয়, বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। বাংলাদেশের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে আহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি । তবে সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা শতাধিক। দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর, কোটা বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা পরবর্তীকালে আরও বাড়তে পারে বলে অনেকের অনুমান। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও।  এর মধ্যে তাঁরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের এই কর্মসূচিতে গোটা দেশ থেকে ঢাকা প্রায় অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানিয়েছেন, “গতকাল আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।”

সূত্রের খবর, জোর করে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে একটি সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে পুলিশের দিকে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে শাসক দল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও।

Related Articles