আন্তর্জাতিক
Trending

ইউরোপে যেতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া মানুষের ১২শতাংশই  বাংলাদেশি

12 percent of the people who drowned in the Mediterranean while going to Europe are Bangladeshis

The Truth Of Bengal: উন্নত দেশের অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।বাংলাদেশের মতো পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে ইউরোপে পাড়ী দেওয়ার ঝোঁক বেশি দেখা যায়।নিজেদের দেশে ক্ষতিপূরণ ফেরত পাঠানোর তালিকায় অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএমের দেওয়া তথ্য অনুসারে ইউরোপে অবৈধভাবে ঢুকতে গিয়ে অনেকেই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেন।সেই ডুবে মারা যাওয়া মানুষের ১২শতাংশই বাংলাদেশি।অর্থাত্ বৈধভাবে যাঁরা ভূমধ্যসাগরে যান তাঁদের কোনও সমস্যা হয় না।কিন্তু অভিবাসীরা বেআইনিভাবে ঢুকতে গেলেই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যায়।

বলা যায়,অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে।সেখানে রোজগারের সুযোগ কম।এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ,ভূমিধসের কারণে প্রতিবেশী দেশের মানুষ বিপন্ন  অবস্থার মুখে চলে যায়।ঘুরে দাঁড়ানোর জমি খুঁজে পেতে তাঁরা অভিবাসী হয়ে যায়।নিজভূম ছেড়ে ইউরোপের মতো  উন্নত দেশে ভবিষ্যত গড়ার পথে তাঁরা এগিয়ে যায়।অনেকেই বলেন,বাংলাদেশ  ব্যানানা কান্ট্রি  অর্থাত্ পরদেশের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।রিপোর্টে স্পষ্ট, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে   বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। তবে দেশে রেমিট্যান্স বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে।পরিসংখ্যান বলছে,২০২০সালে রেমিট্যান্স আসে ২১.৭৫বিলিয়ন ডলার।

২০২২সালে বাংলাদেশে প্রায় ২১.৫০বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।তাই বাংলাদেশের অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলায় তাঁদের পরনির্ভরতা কিছুতেই কমছে না। যেভাবে অভিবাসী হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে বাংলাদেশের ১২শতাংশ নাগরিক রয়েছেন তাতে উদ্বেগ কমছে না। আসলে উন্নয়নের ভিত বাড়াতে শেখ হাসিনা সরকার সেতু থেকে হাসপাতালের পরিকাঠামো নির্মাণ বা ছোট ব্যবসার প্রসার ঘটালেও আসলে স্থায়ী রোজগারের সন্ধান সেভাবে কী মিলছে না সেদেশে,প্রশ্নটা রয়েই গেছে ?

Free Access

 

Related Articles