১দিন ছুটি, ১০৪দিন টানা ডিউটি,কাজের চাপে মৃত্যু শ্রমিকের! কাঠগড়ায় কোম্পানি
1 day off, 104 days continuous duty, worker died due to work stress

Truth of bengal: টানা ডিউটির জেরে অনেকেই বিধ্বস্ত হয়ে যান। ক্লান্তি-কষ্ট বা কাজের চাপ নিতে পারেন না। তাঁদের শরীর আর দেয় না। কর্মক্লান্ত,কর্মীদের কথা অনেক সময়ই নিয়োগকারী সংস্থা ভাবেন না। যার জন্য সেইসব কর্মীরা জীবনের লড়াইতে হারিয়ে যান। সেরকমই এক ঘটনা নজরে এল চিনে।
বছর তিরিশের চিত্রশিল্পী এ বাও –এর পরিবার অভিযোগ করেছেন,তাঁর একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তাঁদের তরতাজা যুবক। এরপরই বিষয়টি আদালতে যায়। আদালত অমানবিক সংস্থাকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করেছে।আদালতের তরফে সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,এ বাওয়ের অকাল মৃত্যুর জন্য সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের তরফে এই কথা তুলে ধরা হয়েছে।
এই বিষয়ে আরও জানা গেছে,এ বাও নিউমোকোক্যাল সংক্রমণে আক্রাম্ত হন ।যার জন্য তাঁর প্রতিরোধের ক্ষমতা পুরোপুরি হ্রাস পায়।যার জন্য ওই ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।শেষে জীবনের গতি থমকে যায়।২৮মে থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১জুন,মৃত্যুর পথযাত্রী হন তরতাজা কর্মী।
এ বাও গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিলেন কাজের জন্য।ঠিক হয় জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ডিউটি করবেন।তাঁকে ঝউসানের একটি প্রকল্পের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।চুক্তি মেনে এ বাও টানা কাজ করেন।এমমকি প্রতিদিন অতিরিক্ত কাজ করার জন্য কাহিল হয়ে পড়তেন। তার মাঝে ৬এপ্রিল কেবল একদিনের ছুটি পেয়েছিলেন।
২৫ মে থেকে তিনি অসুস্থতা বোধ করেন,তারপর তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে,তারপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও সোশ্যাল সিকিউরিটি অফিসার বা সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিক দাবি করেন, এ বাও যে কাজের জন্য মারা গেছেন এটা বলা যাবে না। কারণ সে আগে থেকেই অসুস্থ ছিল বলে অনেকের মতো তিনিও মনে করেন।
এবিষয়ে তাঁর পরিবার সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় বিষয়টি আলাদা মোড় নেয়। আইনি লড়াইয়ের পর আদালত সংস্থাকে টানা কাজ করানোর জন্য দায়ী করেছে। একইসঙ্গে এই নিষ্ঠুর আচরণ আসলে চিনের শ্রম আইন ভেঙেছে বলেও আদালতের অভিমত।চিনের আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে,সেদেশে দিনে ৮ঘন্টা ডিউটির কথা বলা হয়েছে শ্রম আইনে,তার বেশি কাজ করানো মানে অমানবিক নজির তৈরি করা।