ক্যান্সার-৪ স্টেজে থাকা মহিলাকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অফিসের অমানবিক চাপ !
Woman Battling Stage 4 Cancer Asked When She Is Returning To Work

The Truth of Bengal:আচ্ছা বলুন তো কোনটা জরুরি ? ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া নাকি কর্পোরেট প্রোটোকল মেনে চলা ? রেডিস্ট পোস্ট বিতর্কের তুফান তুলেছে। এই বিতর্কিত বিষয়টি ই-মেলে পোস্ট করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি তাঁর মায়ের করুণ কাহিনী তুলে ধরেছেন। যেখানে জানা গেছে,
ক্যান্সার ৪ স্টেজে থাকা মহিলাকে অফিস আসতে বলছেন তাঁর বস।ই-মেলে বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার অসুস্থ মহিলা কর্মীকে বার্তা পাঠায় যদি তিনি সুস্থ থাকেন তাহলে অফিসে আসুন।অনকোলজিস্টের পরামর্শ মেনে অফিসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।এমনকি ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়।বলা হয়,পরেরদিনই অনকোলজিস্টের শংসাপত্র নিয়ে অফিসের ড্রপ বক্সে জমা করতে,যাতে ওয়েলফেয়ার চেক করা যায়। অরিজিন্যাল পোস্টার অনুসারে যে ব্যক্তি এই অমানবিক ঘটনা সামনে এনেছেন তাঁর ৫০বছর বয়সী মা কর্কটরোগের- ৪ স্টেজে রয়েছেন।গত ১৮মাস ধরে তিনি কঠিন জীবনযুদ্ধ করছেন। তাঁর সন্তানের বক্তব্য, অফিস গোটা বিষয়টি জেনেও তাঁর মাকে অমানবিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছে এবং কাজে যোগ দিতে বলছে।
এই চরম দুঃখের ও অসংবেদনশীল ঘটনা ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে শোরগোল ফেলেছে। কেন এত শোরগোল ? প্রসঙ্গতঃ অফিসের তরফে জানানো হয়েছে,যদি আপনি সু্স্থ থাকেন।অঙ্কলোজিস্ট যদি আপনাকে ফিট বলে তাহলে আর ঘরে বসে থাকবেন না। এবার কাজে ফিরলে ভালো হয়। ওপি যে স্ক্রিনশট তুলে ধরেছে তাতে বলা হয়েছে, যদি মহিলা নির্দিষ্ট কোনও কাজ করতে না পারেন তা যেন জানানো হয়।অমানবিক অফিসের তরফে চাপ সৃষ্টি করতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ক্যান্সারের ৪ স্টেজে থাকা মহিলা যদি নির্দিষ্ট কাজ না করতে পারে তাহলে যেন জানানো হয়। এই ই-মেল সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অসুস্থ, ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ছেলে।তাঁর মতে, এভাবে একজন দীর্ঘ ১৮মাস ধরে ক্যান্সারে ভুগতে থাকা মহিলাকে এই মেল পাঠানো কতটা অমানবিক বুঝতে পারছেন।তাঁর মায়ের কঠিন জীবনযুদ্ধের কথা তুলে ধরে বিবেকবান মানুষকে একবার ভাববার আবেদনও করেছেন মহিলার ছেলে। এবিষয়ে কর্কটরোগে আক্রান্ত মহিলার ছেলের বক্তব্য, যেখানে অফিস জানে তাঁর মা ১৮ মাস ধরে জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মুখে রয়েছেন সেখানে কিভাবে তাঁরা অফিসে আসার কথা বলতে পারেন।
যেখানে কর্মরত মহিলা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সেখানে এই ধরণের অফিস আসার তলব মানা যায় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মহিলার ছেলে।এখানেই শেষ দীর্ঘদিন না আসায় ওঙ্কলোজিস্টের রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে সেই সংস্থা।আয়ারল্যান্ডের এই ঘটনায় স্পষ্ট, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কর্মীদের যথেষ্ট সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।এই ঘটনার পর ক্যান্সার আক্রান্তের পরিবার ও ক্যান্সার আক্রান্তের ওপর পাহাড়প্রমাণ চাপ তৈরি করেছে। নেট নাগরিকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন,এভাবে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলা কর্মীর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রতি সহানুভূতির হাত না বাড়িয়ে সংস্থা কী অমানবিক কাজ করেনি। তাঁদের আরও প্রশ্ন,যেখানে মানসিকভাবে সমর্থন দেওয়া অফিসের দরকার,সেখানে কেন এই অমানবিক আচরণ ? ডিসনিডল -৯৬ তাঁর শেয়ার করা তথ্যে জানিয়েছেন,তাঁর মা সুস্থ হয়ে ওঠার পর কাজে ফিরতে পারেন,যেহেতু তিনি একমাত্র উপার্জনকারী। ওপি আরও উল্লেখ করেছেন,তাঁর মা সিঙ্গল পেরেন্ট।তাঁদের পরিবার আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পেশাদারিত্বের কথা বলে একজন অসুস্থ মহিলাকে ডেকে পাঠানোর ঘটনায় নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।