পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তুরস্ক, তুরস্কের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল ইন্ডিগোর
Türkiye stood by Pakistan, IndiGo cancels contract with Turkish company

Truth of Bengal: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ১৫ দিন কেটে গেলেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, পাকিস্তানই জঙ্গি মদতের পেছনে রয়েছে। অথচ সেই সময়েও তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায়। জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে তুরস্কের এই অবস্থানকে গুরুত্ব দিয়েই দূরত্ব বাড়ায় ভারত। ইতিমধ্যেই ১৫ মে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তুরস্কের সংস্থা সেলেবি-কে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি বাতিল করা হয়েছিল। এবার আরও এক ধাপ কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
সরকারের নির্দেশে এবার তুরস্কের বিমান সংস্থার সঙ্গে লিজ চুক্তি বাতিল করতে চলেছে ভারতের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। ইন্ডিগোর বর্তমানে প্রায় ৪০০টি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে দুটি বিমান তুরস্কের সংস্থার কাছ থেকে লিজ নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইন্ডিগোকে জানানো হয়েছে, এই লিজ চুক্তি বাতিল করতে হবে এবং যাত্রী পরিষেবায় যেন কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তুরস্কের বিমান সংস্থাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েও দিয়েছে ইন্ডিগো।
জানা গিয়েছে, চুক্তির সময়েই তুরস্ককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে এই চুক্তি যেকোনও সময় বাতিল হতে পারে। এই প্রসঙ্গে ইন্ডিগোর সিইও বলেন, ‘আমরা সরকারের নিয়ম মেনে কাজ করি। তবে আপাতত আমরা আমাদের পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি সরকার নিয়ম পরিবর্তন করে, আমরা অবশ্যই তা অনুসরণ করব।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক স্তরে এ এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা—দেশের স্বার্থের প্রশ্নে কোনও আপস নয় । পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে তুরস্ক যেভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তারই পরিণতি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রের এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতে বিদেশি সংস্থাগুলিকেও সতর্ক করবে, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।