কমিশনের অফিসের সামনে তৃণমূলের ধর্না, পুলিশ তুলে নেওয়া যাওয়ায় বাঁধে ধুন্ধুমার
Trinamool's dharna in front of the commission's office leads to chaos as the police remove it

The Truth Of Bengal : এজেন্সিকে ব্যবহার করে বেছে বেছে বাংলার তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। ভূপতিনগরকাণ্ডে বিজেপি-ইডির যোগের কথা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।তাঁরা দাবি করেন,সিবিআই-ইডি-এনআইএ- সহ ৪ এজেন্সির ডেরিক্টরদের অপসারণ চাই। ১০সদস্যের প্রতিনিধিদের ধরনা ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে।পুলিশ জোর করে.টেনে হিঁচড়ে দোলা সেন,অর্পিতা ঘোষ,সাগরিকা ঘোষ সহ অন্যদের তুলে নিয়ে যায়।
ভোটের আগে গণতন্ত্রের লড়াই ছেড়ে বিজেপি অন্য কৌশল নিচ্ছে।চব্বিশের নির্বাচনে শুধু বিজেপির লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলার তৃণমূল নেতাদের ইডি-এনআইএ দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। ২বছরের পুরনো মাঝরাতে হানা দিয়ে ইচ্ছামতো তুলে আনা হচ্ছে এই রাজ্যের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।ভূপতিনগরের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে,অপারেশন সাকসেস করার জন্য ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইএ-র এসপির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন।সেই বৈঠকে ধনরাম সিংকে মোটা টাকা সাদাখামে ঘুষ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।তার বিহিত চেয়ে কমিশনে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।কেন নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পরেও এভাবে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে সরব ঘাসফুল শিবির।লেভেল প্লেইয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করে বা সব দলকে সমান মর্যাদা দিয়ে ভোটে লড়ার ব্যবস্থা করার আর্জি কমিশনের কাছে রাখেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।
জলপাইগুড়িতে কয়েক মিনিটের টর্নেডোয় ক্ষতি হয়।সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান।তিনি দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য আশ্বস্ত করেন।নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নির্দেশ দিতে পারেননি।তিনি বিধি মেনে মানবিক ভূমিকা পালন করেন।এখন মানবিক কারণে ত্রাণ –পুনর্গঠনে প্রশাসন যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন রেখেছেন ডেরেক ওব্রায়েন,সাগরিকা ঘোষ,সাকেত গোখলে, দোলা সেন,অর্পিতা ঘোষ সহ ১০সদস্যের প্রতিনিধিদল।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এই আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।এরপর স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ,অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা সেদিকেই নজর রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস।