দেশ

Big Breaking: ৪০০-র বেশি খাদ্যপণ্যে বিষাক্ত ভেজাল, রিপোর্ট সামনে, কিডনির অসুখ সহ ক্যান্সারের আশঙ্কা

Toxic adulteration in more than 400 food products, report ahead, kidney disease including cancer risk

The Truth of Bengal: এক ভয়াবহ আতঙ্কের তথ্য সামনে উঠে এল। এক রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় ৪০০ টি খাদ্যপনে বিষাক্ত ভেজাল দেওয়া হয়। যার অধিকাংশ বিদেশে রপ্তানিও করা হয়। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর ভারতীয় এইসব ভেজাল পণ্য ব্যবসা ক্ষেত্রেও বড় বিপর্যয়ে পড়তে চলেছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে এই রিপোর্ট সামনে আসে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই পরীক্ষা করার পর রিপোর্টগুলি হাতে আসে। সেখানে দেখা গিয়েছে মশলা পাতি থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী মেশানো হয়েছে বিষাক্ত নানান পদার্থ। চাল ডাল থেকে শুরু করে হলুদ জিরে কোন কিছুতেই বাদ যায়নি এই ভেজাল। কাপড়ের রং করার জন্য যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা হলুদ, লঙ্কা গুড়োর মতো বিভিন্ন মশলায় মেশানো হয় বলে রিপোর্টে প্রকাশ। গুড়ো উজ্জ্বল দেখানোর জন্যই এই রং ব্যবহার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। দারুচিনি এবং জিরের মত মসলায় কাঠের গুড়ো মেশানো হয়।

রিপোর্টে প্রকাশ ১৪ টি পণ্য এই বিষাক্ত ভেজালের কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে। বিভিন্ন পণ্য দীর্ঘ মেয়াদী টাটকা রাখতে মেশানো হয় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক। নানা ধরনের রাসায়নিক মেশানোর কারণে বিষ ছড়িয়ে পড়ে খাদ্যের মধ্যে। ইথিলিন অক্সাইডের মত কারসিনোজেনিক যৌগ অনেক সময় মেশানো হচ্ছে। ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে অক্টোপাস ও স্কুইড সহ ২১ টির মত পণ্যে ক্যাডিমিয়াম রয়েছে। এই ধরনের রাসায়নিক কিডনি এবং হৃদরোগীদের কাছে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রিপোর্টে আর উঠে এসেছে ৬০টির মতো পণ্যে এমন কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রভাব ফেলতে পারে।

জিনোটক্সিক বৈশিষ্ট্যের জন্য নিষিদ্ধ এমন রাসায়নিক ও বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে মাছ টাটকা রাখতে। এরকম ভারতীয় ৪০০ পণ্যে মিলেছে রাসায়নিক মিশ্রণ থেকে ভেজাল। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে ভারতীয় পণ্যের একটা বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে মশলার। এ ধরনের কীটনাশক ও ভেজাল বাড়তে থাকলে আগামী ভবিষ্যতে ইউরোপীয় বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা কমবে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই রিপোর্ট সামনে আসায় চিন্তার ভাঁজ ভারতীয় রপ্তানিকারক সংস্থাগুলির কপালেও। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নয়া কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেটাই দেখার।

Related Articles