এপিক ইস্যুতে সংসদে আলোচনা চায় তৃণমূল, সরকার অনড় থাকায় ওয়াকআউট বিরোধীদের
TMC demands discussion on Epic issue in Parliament, Opposition walks out as govt remains firm

Truth Of Bengal: সংসদে শাসক-বিরোধী তর্কযুদ্ধ আবারও প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই এপিককার্ডের বিভ্রান্তি দূর করতে সংসদে আলোচনা চেয়ে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংসদে বৃহস্পতিবারও সোচ্চার হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় নারাজ থাকায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা ।
বারবার নোটিস দিয়েও ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়নি কেন্দ্র। গত সপ্তাহেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে স্বল্প সময়ের জন্য এই ইস্যুতে আলোচনার অনুমতি দিতেও পারেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সদিচ্ছা তাঁর তরফে দেখানো হয়নি। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আলোচনার দাবিতে রাজ্যসভায় নোটিস দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাকেত গোখলে। সেগুলি গ্রহণ করেননি চেয়ারম্যান,অভিযোগ করেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকার পক্ষ অনড় থাকায় বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ভুয়ো ভোটার কার্ড যে রয়েছে, সেটা প্রমাণিত। ভুয়ো এপিকও থাকবে, আবার সুষ্ঠু নির্বাচনও হবে, দু’টো একসঙ্গে হতে পারে না। সরকার এই বিষয়ে আলোচনা করুক,খোলামেলাভাবে,বিরোধীরা সেই দাবিকে জোরদার করল।
বিরোধীদের একটাই দাবি, সরকার আলোচনা করুক। কিন্তু সরকার সেটা না চাওয়ায় বিরোধীরা জাতীয় স্বার্থে স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে সুর চড়াতে চায়।এই অবস্থায় অমিত শাহ বাংলা দখলের হুঙ্কার দিয়ে নজর ঘোরাতে চান,এমনটাই মত অনেকের।দুই শিবিরের দ্বৈরথে জাতীয় রাজনীতি যে তপ্ত বলাই যায়।