
Truth Of Bengal: বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মহারাষ্ট্রে। চন্দ্রপুর জেলায় লাগাতার চলছে বাঘের হামলা। তাতেই ১৩ দিনে বাঘের আক্রমণে ৯ জন মারা গেছেন। ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার করণওয়ান গ্রামে মাঠে গরু-মহিষ চরাতে বেরিয়েছিলেন তিন – চারজন। সেইসময় চলে বাঘের হামলা। বাঘটি প্রথমে আক্রমণ করে ৫৫ বছর বয়সী বান্দু পরশুরাম উরাদেকে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাগ্নে, ৩৫ বছর বয়সী কিশোর মধুকর উরাদেও বাঘের নখরে আটকা পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান বান্দু।
ঘটনার পর গ্রামে তীব্র উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ তুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বন বিভাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয় ১০ মে বাঘের হামলায় একধাক্কায় মৃত্যু হয় ৬৫ বছর বয়সী কান্ত বুধাজি চৌধুরী, ২৮ বছর বয়সী শুভাঙ্গী মনোজ চৌধুরী এবং ৫০ বছর বয়সী রেখা শালিক শেন্ডের। নিহতরা সকলেই সিন্দেভাহি তহসিলের মেন্ধা-মাল গ্রামের বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে একজন শাশুড়ি এবং পুত্রবধূও ছিলেন। এখন পর্যন্ত বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চন্দ্রপুর জেলার বাসিন্দাদের গ্রীষ্মকালে তেন্দু পাতা তোলা কর্মসংস্থানের একটি প্রধান উৎস। কিন্তু এখন জীবিকার এই উপায় জীবনের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে প্রতি গ্রীষ্মে তেন্দু পাতা সংগ্রহ করে তারা সংসার চালান। কিন্তু এখন বাঘের আক্রমণ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিক ঘটনার কারণে গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি করেছে।বলা বাহুল্য, এই জেলায় তাডোবা টাইগার রিজার্ভ রয়েছে, যা বাঘের জন্য বিখ্যাত। তাডোবা এবং সমগ্র জেলায় প্রায় ২২০টি বাঘের উপস্থিতি জানা গেছে। সমগ্র মহারাষ্ট্রের মধ্যে চন্দ্রপুর জেলায় বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বন বিভাগ ৩৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং ৮টি লাইভ ক্যামেরা স্থাপন করে বাঘিনীটির উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১২ মে এক বাঘকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে খাঁচায় বন্দী করেছে বনদফতর।