পুলিশের জালে মাদক সাম্রাজ্যের ‘কুইন’ লেডি ডন
The 'Queen' of the drug empire, Lady Dawn, is in the police net

Truth Of Bengal : এ সেই কুখ্যাত ‘ডন’ জোয়া খান গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লি পুলিশের হাতে। উত্তর দিল্লির ওয়েলকাম এলাকায় ড্রাগ পাচারের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। গ্রেফতাররের সময় তাঁর কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন পাওয়া গিয়েছে।
বহু বছর ধরে পুলশীএর হিটলিস্টে থাকলেও তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে দিল্লির ‘লেডি ডন’ জোয়া খান। কুখ্যাত ডন জোয়া গ্যাংস্টার হাশিম বাবার স্ত্রী। পুলিশের অভিযোগ, জেলবন্দি স্বামীর অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করছিলেন জোয়া। অপহরণ, তোলাবাজি, ড্রাগ পাচার-সহ নানা অপরাধমূলক কাজের নেতৃত্ব দিতেন।
আড়ালে থেকে দলের সঙ্গে যুক্তদের দিয়ে সেই কাজ করাতেই জোয়া। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলছিল না বলে পুলিশও কোনও কঠিন ধারায় এই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারেনি। তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে থেকে যাচ্ছিলেন। অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করল সেই মহিলা ডন জোয়া খানকে।
হাসিম বাবাকে বিয়ের আগে আরও একজনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি জোয়া। তবে হাসিমের সঙ্গে থাকার সময় অপরাধ জগতের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। হাসিম বাবা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর সেই সাম্রাজ্য দেখতে থাকেন জোয়া। জোয়া প্রায় প্রতিদিনই জেলে তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। পুলিশের কাছে বারবার নানা অভিযোগ এলেও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারছিল না পুলিশ। পুলিশের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না।
তবে এবার আর হল না। জোয়ার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখছিলেন স্পেশ্যাল সেলের এসিপি সঞ্জয় দত্ত। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে তাঁকে ড্রাগ সহ হাতেনাতে ধরে পুলিশ। এর আগে জোয়ার মা যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বাবা ড্রাগ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই পরিবারের মেয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ড্রাগ পাচারের অভিযোগে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি অপরাধের আগেই তিহার জেলে বন্দি স্বামী হাশিম বাবার সঙ্গে গোপনে দেখা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ নিতেন জোয়া। জেলে তাঁদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষাতেই কথাবার্তা হতো। তারপর অপারেশন চালাতেন গোপন ভাবে। কোথাও প্রমাণ থাকতো না তাঁর বিরুদ্ধে।
হাই-প্রোফাইল পার্টিতে যোগ দিতেন, দামি পোশাক পরতেন এবং বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করতেন। দামি গাড়ি ছিল তাঁর বাহন। সব মিলিয়ে তাঁর রাজকীয় জীবনযাপন তাঁকে আলাদা করে রেখেছিল অপরাধ জগৎ থেকে। কিন্তু আড়ালে তিনি ছিলেন অপরাধ জগতের কুখ্যাত ‘লেডি ডন’। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।