আগের সরকারের বিদেশনীতি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল, বললেন এস জয়শঙ্কর
The previous government's foreign policy was influenced by vote bank politics, said S Jaishankar

The Truth Of Bengal : আগের সরকারের বিদেশ নীতির কড়া সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই বিদেশনীতি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। একটি পডকাস্টে হাজির হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন জয়শঙ্কর। ‘টপ অ্যাঙ্গেল উইথ সুশান্ত সিনহা’ শো-তে অংশগ্রহণ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের বিদেশী নীতি প্রভাবিত ছিল মুসলিম তুষ্টির জন্য।‘ তবে শুধু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নয়, দেশের অভ্যান্তরেও সেই ধারা চলে আসে।
নিজের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জয়শঙ্কর বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেন। প্রশ্নকর্তার কাছে জানতে চান, ‘আপনি কি মনে করেন না যে পাকিস্তান নীতিতে ভোটব্যাঙ্ক নীতির লক্ষণ ছিল? আর একটি উদাহরণ তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘1948 সালে ইসরায়েল স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু 1992 সাল পর্যন্ত ভারত সেখানে রাষ্ট্রদূত পাঠায়নি। শেষে 1992 সালে ইসরায়েলে দূত পাঠানো হলেও 2017 সাল পর্যন্ত একজন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কেন যাননি সে দেশে?
BIG- पिछली सरकारों में विदेश नीति भी मुस्लिम वोट बैंक के हिसाब से तय होती थी।
प्रधानमंत्री @narendramodi के पीछे पड़ा इकोसिस्टम विदेश मंत्री जयशंकर जी को सुन ले।
ये सुनकर आश्चर्य नहीं होता कि क्यूँ 26/11 के बाद पाकिस्तान को नहीं ठोका था तब की सरकार ने#TopAngleWithSushantSinha pic.twitter.com/KYhhtwCtOk— Sushant Sinha (@SushantBSinha) April 23, 2024
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে মুম্বই হামলার কথাও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। 26/11 হামলায় ইউপিএ সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সর্বসম্মত সমর্থন সত্ত্বেও ইউপিএ সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। জয়শঙ্কর মুম্বইয়ের মতো সন্ত্রাসী হামলার উদাহরণ সামনে রেখে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কড়া জবাব না দেওয়া হলে সন্ত্রাসবাদীদের আরও হামলা চালাতে উত্সাহী হয়ে ওঠে। সন্ত্রাসীরা কোনও নিয়ম মেনে চলে না। 2014 সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। জানান, সন্ত্রাসবাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে তখন থেকে। নেওয়া হয় ‘জিরো টলারেন্স নীতি’। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের সেই মানসিকতার কথা তুলে ধরেন এস জয়শঙ্কর।