ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১৪২ কোটি টাকা! সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ ইডির?
The Enforcement Directorate has accused Sonia and Rahul Gandhi of enjoying 14.2 billion rupees derived from crime.

Truth of Bengal: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় ১৪২ কোটি টাকার অপরাধলব্ধ অর্থ থেকে সুবিধা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লির একটি বিশেষ আদালতে মামলার শুনানির সময় এই অভিযোগ তোলে সংস্থাটি।
কেন্দ্রের হয়ে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ন্যাশনাল হেরাল্ড সম্পর্কিত সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত অভিযুক্তরা ওই অর্থ ও সম্পত্তি ব্যবহার করছিলেন।
তিনি বলেন, “অপরাধলব্ধ অর্থ মানে শুধু অপরাধ করে অর্জিত টাকা নয়, বরং এমন যেকোনো সম্পদ বা আর্থিক সুবিধা যা সেই অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।”
ইডির দাবি, গান্ধী পরিবার অপরাধলব্ধ অর্থ পাওয়ার সময় এবং পরেও তা নিজেদের কাছে রেখে মানি লন্ডারিং করেছে। সংস্থাটি জানায়, এই মামলায় সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এই মামলার ভিত্তি একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ, যা ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের নির্দেশে ইডি ২০২১ সালে তদন্ত শুরু করে।
বিচারক বিশাল গগনে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, মামলার চার্জশিটের কপি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে দিতে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেন, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেড’ (YIL) নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ (AJL)-এর নিয়ন্ত্রণ নেন। এই AJL-ই ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিক।
স্বামীর অভিযোগ, মাত্র ৫০ লাখ টাকায় এই অধিগ্রহণ করা হয়, অথচ AJL-এর মালিকানাধীন সম্পত্তির বাজার মূল্য ২,০০০ কোটির বেশি। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস দলের কাছ থেকে AJL যে ৯০.২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, সেটি পুনরুদ্ধারের অধিকার YIL-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়, যা গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই মামলায় জামিন পান সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তবে মামলার তদন্ত এখনো চলছে এবং ইডি জানিয়েছে, আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তারা বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে।