বাংলাদেশের জঙ্গি যোগের কিনারা করতে রাজ্যের মতোই তৎপর অসম এসটিএফ
The Assam STF is as active as the state in curbing the presence of militants in Bangladesh

Truth Of Bengal: জেএমবি জঙ্গি তারিকুল,আসলে আনসারুল্লা বাংলা টিমের দুই সদস্য মিনারুলও আব্বাসকে জেলে বসেই নির্দেশ দিত। এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য মেলার পর স্পষ্ট হচ্ছে,আন্তঃরাজ্য জঙ্গি নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের জঙ্গিদের যোগ দৃঢ় হচ্ছে। এই তথ্য মেলার পর সোমবার খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলামকে জেরা করতে অসম এসটিএফের টিম আসে।এই রাজ্যের এসটিএফ মুর্শিদাবাদ থেকে আনসুরাল্লা বাংলা টিমের দুই চাঁইকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি-পাকড়াও অভিযান শুরু হয়েছে, সেই সূত্র ধরে বার বার উঠেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় প্রসঙ্গ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতরা কোনও বড় নাশকতার ছক করে। নাশকতার ছক কার্যকর করতে জেল থেকে বসেই ছক কষে জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গিদের কারও কারও সঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ধৃতদেরও যোগ আছে। সেই তালিকায় আছেন তারিকুল।তাই তাঁকে জেরা করেই নাশকতার ষড়যন্ত্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি আনসারুল্লা বাংলা টিমের বেশ ৪ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।মুর্শিদাবাদ থেকে ধরা পড়ে নাশকতাকারীরা। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, জেলবন্দি তারিকুলই জেল থেকে বিভিন্ন সময় নির্দেশ দিত । ধৃত জঙ্গি আব্বাস আলির সঙ্গেও একাধিক বার কথা হয়।২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলাম নাকি জেলে বসেই এবিটির সংগঠনকে বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। গত বছর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে ধৃত জঙ্গি মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। মিনারুল ও আব্বাস দুজনেই আনসুরাল্লা বাংলা টিমের সদস্য।
বাংলায় নাশকতা ছড়ানোর ছক কষা হচ্ছিল বাংলাদেশের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তাই সেই জঙ্গি সন্ত্রাসের শিকড়ে পৌঁছাতে অসম এসটিএফ এই রাজ্যে এসে তদন্তে তত্পর।আশা করা হচ্ছে,দুই রাজ্যের পুলিশ সহযোগিতা বাড়ালে হিংসা ছড়ানোর কাজ নিয়ন্ত্রণে আসবে।