কর্ণাটক বিধানসভায় ‘হানিট্র্যাপ’ নিয়ে উত্তেজনা, কাউকে বাঁচানোর প্রশ্নই নেই বললেন সিদ্দারামাইয়া
Tensions rise in Karnataka Assembly over 'honeytrap', no question of saving anyone, says Siddaramaiah

Bangla Jago Desk: শুক্রবার কর্ণাটক বিধানসভায় ‘হানিট্র্যাপ’ ইস্যু নিয়ে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিন বিজেপি বিধায়করা এই ইস্যু নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপির বিধায়করা স্লোগান তোলেন এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে সিডি ছিল, যাতে দাবি করা হয়েছে, ‘হানিট্র্যাপ’-এর প্রমাণ সিডিতে রয়েছে। এরপর কিছু বিধায়ক স্লোগান দিতে দিতে ওয়ালে পৌঁছে যান। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের বিধায়করা স্পিকারের আসনের কাছে কাগজপত্র ছুড়ে মারেন। সংসদে হট্টগোলের কারণে বিধানসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কর্ণাটক সরকারের সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্না বিধানসভায় দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতা-সহ ৪৮ জন রাজনীতিবিদ ‘হানিট্র্যাপ’এ জড়িয়ে পড়েছেন। রাজন্না বলেন, ‘কর্ণাটককে সিডি এবং পেনড্রাইভ কারখানা বলা হচ্ছে।’ দেখা গিয়েছে, ৪৮ জনের সিডি-পেন ড্রাইভ পাওয়া যাচ্ছে। এই নেটওয়ার্কটি সারা ভারতে ছড়িয়ে আছে। অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও জড়িয়ে পড়েছেন ‘হানিট্র্যাপ’এ। অন্যান্য বিধায়করাও মন্ত্রী রাজন্নার বক্তব্যকে সমর্থন করেন। এর পর, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এই বিষয়টির উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস দেন।
বিজেপি বিধায়ক এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোক বলেন, ‘এটি কোনও একক দলের বিষয় নয়। জনগণের জন্য কাজ করা বিধায়কদের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র। কিছু লোক তাদের লুকানো এজেন্ডার অংশ হিসাবে এই সব (হানিট্র্যাপ) করছে।’ এই বিষয়ে সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, বিষয়টির তদন্ত করা হবে এবং কাউকে বাঁচানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে কেউ যাতে পালাতে না পারে তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। রাজন্না কারও নাম নেননি, যদি তিনি কারও নাম নেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। বিজেপি বিধায়করা এই বিষয়ের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।