ভারী বৃষ্টির জেরে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর, বাতিল উত্তর সিকিমের পারমিট
Teesta water level rising due to heavy rains, North Sikkim permit cancelled

Truth of Bengal: উত্তর সিকিমে ফের পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ধসের কারণে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের জন্য ইস্যু করা সমস্ত পারমিট বাতিল করার নির্দেশ দিল সিকিম প্রশাসন। শনিবার পর্যটন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ৩১ মে-র জন্য আগেই যেসব পারমিট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও বাতিল করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে উত্তর সিকিমে টানা ভারী বর্ষণ চলছে। এরজেরে ধস নেমেছে একাধিক পাহাড়ি রাস্তায়। শুক্রবার রাতেও বৃষ্টির ফলে নতুন করে ধস নামে। চুংথাং যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাচুং ও লাচেন-সহ গোটা উত্তর সিকিমেই পর্যটন পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, থিয়েংএলা অঞ্চলে ধসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি, সানকালাং এলাকায় তিস্তা নদীর জলস্তর প্রায় ২ মিটার বেড়েছে। যদিও, বর্ষাকালে জলস্তর বৃদ্ধি স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তবে এরই মধ্যে ঘটে গেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাং থেকে মুন্সিথাং যাওয়ার পথে পর্যটকদের একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা ১১ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিকিম সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিস্তা প্লাবিত হওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডিকচু, সিংথামের মতো এলাকা। তিস্তা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের অন্যত্র সরিয়ে আনার জন্য সমস্ত দফতরকে সতর্ক করছে সিকিম সরকার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং-সহ পাহাড়ি পাঁচ জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্যাংটক জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের উচ্চ সতর্কতায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে জেলা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।সেইসঙ্গে পর্যটকদের আপাতত উত্তর সিকিমে সফর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ তৎপর রাজ্য প্রশাসন।