ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের দাপটে বিধ্বস্ত তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি, মৃত ৩
Tamil Nadu and Puducherry devastated by Cyclone Fenjal, 3 dead

Truth Of Bengal Desk: শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল। প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে চেন্নাই এবং এর আশপাশের এলাকায় তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা
চেন্নাই এবং পুদুচেরিতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মীনাম্বাক্কম ও নুঙ্গমবাক্কম আবহাওয়া কেন্দ্রগুলি ১১.৪ সেমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, আর পুদুচেরি পেয়েছে ৪৬ সেমি, যা ২০০৪ সালের পর সর্বোচ্চ। তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরম জেলার মাইলামে ৫০ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
চেন্নাই বিমানবন্দরের দুটি রানওয়ে এবং একটি ট্যাক্সিওয়ে প্লাবিত হওয়ায় শনিবার বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৪টি অভ্যন্তরীণ বিমান বাতিল এবং ২৬টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। একই সঙ্গে বাস ও ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম
পুদুচেরিতে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত হয়েছে। প্লাবিত কৃষ্ণনগর এলাকার ৫০০ বাড়ি থেকে ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সব বেসরকারি স্কুল এবং কলেজকে ত্রাণশিবিরে রূপান্তর করেছে।
প্রশাসনের তৎপরতা
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন ও উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত বন্যার পানি সরিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন। চেন্নাইয়ের ৬টি আন্ডারপাস থেকে পানি সরাতে ১,৭০০ মোটর পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফেনজল বর্তমানে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে স্থির রয়েছে এবং এটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
সতর্কতা বার্তা
পুদুচেরি প্রশাসন ১২ লাখ বাসিন্দাকে সতর্ক থাকতে বার্তা পাঠিয়েছে। যদিও বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা হচ্ছে।