
The Truth of Bengal: সংসদে পেশ হওয়ার পর মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন জানালেন সোনিয়া গান্ধী। যদিও এই বিল নিয়ে কিছু শর্ত আরোপ করেন তিনি। সম্ভবত আজই এই বিল পাস হতে পারে সংসদে।
কয়েক দশক ধরেই আটকে ছিল মহিলা সংরক্ষ বিল। মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে বিশেষ আধিবেশনে পেশ করা হয় এই বিল। যদিও এই বিলের কৃতিত্ব নিতে সব দলই মরিয়া। সংসদ এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য দাবি ওঠে। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হয়নি সংসদে। বিল নিয়ে আলোচনা হলেও পূর্ণ রূপ পায়নি। অবশেষে, মঙ্গলবার পেশ হয় এই বিল। কংগ্রেসের তরফে এই বিলকে সমর্থন জানানো হয়। বুধবার, সংসদের বিশেষ অধিবেশনের তৃতীয় দিনে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা হবে। তার জন্য সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় ধার্য করা হয়।
কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন জানালেও, এই বিলে ওবিসিদের জন্যও আলাদা করে আসন সংরক্ষণের দাবি করেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এর আগেও মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বহু বার আলোচনা হয়েছে, হয়তো সংসদে পাস হয়নি। কিন্তু সেই সময় থেকে একবারও মহিলাদের সংরক্ষণ বিলে ওবিসি কোটা বা আসন সংরক্ষণের প্রসঙ্গই তোলেনি। রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে রোজ নতুন নতুন দিক খুঁজে বের করা হচ্ছে।
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বলতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, এটা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত কারণ আমার স্বামী তথা প্রাক্তন রাজীব গান্ধীই প্রথম এই বিল স্থানীয় নির্বাচনে মহিলাদের আসন সংরক্ষণ এনেছিল। এই বিল পাশ হলে রাজীব গান্ধীর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
হিন্দিতে রাখা ভাষণে তিনি বলেন, জাতীয় কংগ্রেসের তরফে আমি নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়মকে সমর্থন জানাচ্ছি। ধোঁয়া ভরা রান্নাঘর থেকে জনসমর্থনে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম, ভারতীয় মহিলাদের যাত্রাপথ দীর্ঘ ছিল। অবশেষে তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারল। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহিলারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মহিলারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিলের অপেক্ষা করছিলেন। এখন তাদের আরও কত বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে।”
মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে জাতি ভিত্তিক জনসুমারির দাবি জানান। তিনি বলেন, এই বিল আরও সঠিকভাবে কার্যকর করতে জাতি ভিত্তিক জনসুমারির প্রয়োজন। জনজাতি, উপজাতির সঙ্গে ওবিসিদেরও এই বিলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।