দেশ

তাক লাগানো ঘটনা! রিক্সা চালক দিলখুশ এখন কর্পোরেট সংস্থার সিইও

Shelving event! Rickshaw driver Dilkhush is now the CEO of a corporate firm

The Truth Of Bengal : জীবন যুদ্ধে সফল হওয়া সহজ নয় ঠিকই, কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পথ যত দুর্গম হয় ততই সফলতায় দ্বিগুণ আনন্দ মেলে। সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি হল কঠোর পরিশ্রম। একজন রিক্সা চালক হয়েও যে কঠোর পরিশ্রমের ফলে একটি কোম্পানির সিইও হওয়া যায় তা প্রমান করে দেখিয়েছেন এই পাটনার ভূমিপুত্র দিলখুশ কুমার। আজ ট্রুথ অফ বেঙ্গলের পাঠকদের জন্য রইল এমনই এক লড়াকু ছেলের গল্প।

বিহারের সহর্ষা জেলার বনগাঁও নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে দিলখুশ। সেখানেই ছিল তার পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা। দারিদ্রতা ছিল তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। অর্থের অভাবে বেশিদূর পড়াশুনো না করতে পারা ছেলেটা শুধুমাত্র নিজের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য হাতের বই ছেড়ে বেছে নিয়েছিল রিক্সা চালানোর পেশাকে। তবে এত দারিদ্রতার মাঝেও তিনি স্বপ্ন দেখতেন তিনি একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেন। সবাই তাকে এক ডাকে চিনবে। বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি তা করে দেখিয়েছেন। শুধু স্বপ্নতেই থেমে না থেকে রোজ একটু একটু করে নিজের মনোবল বাড়িয়ে নিজের লক্ষে অবিচল ছিলেন তিনি।

বাড়ির সবার মুখে হাসি ফোটাতে আর দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জোটাতে তিনি দিনরাত দৌড়তেন বিভিন্ন স্থানে শুধুমাত্র একটি কাজের খোঁজে। বহু কোম্পানিতে ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কিন্তু কোথাও কোন রাস্তা না পেয়ে অবশেষে রিক্সা চালানোর পেশাকে বেছে নেন। দিল্লিতে গিয়ে শুরু করেন রিক্সা চালানোর কাজ। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে পাটনায় সব্জি বিক্রির কাজ শুরু করেন। কিন্তু দিলখুশ ছোট থেকেই গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখতেন। তার বাবা ছিলেন একজন লরি চালক। এরপর একটি সংস্থায় গাড়ি চালানোর কাজ শুরু করেন দিলখুশ। তারপর ওলা এবং উবেরের মত অন্য একটি গাড়ি পরিষেবা সংস্থায় কাজ করা শুরু করেন। এরপর আর অন্যের অফিসে কাজ না করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজেই নিজের নামে একটি সংস্থা অ্যাপ খোলেন। তারপর থেকেই ক্যাব পরিষেবা দেওয়া শুরু করেন।

২০২২ সালে তার এই নতুন পথ চলা শুরু করেন। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ৪ কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্টও পান। বহু আইআইটি ও আইআইএমের ছাত্রছাত্রি দিলখুশের অফিসে পার্ট টাইম কাজ করে তাকে সাহায্য করেন। আজ নিজের নামে খোলা ওই সংস্থার সিইও তিনি।

Related Articles