নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তোপের মুখে এসবিআই, সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
SBI in the face of electoral bonds

The Truth of Bengal: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সমস্ত তথ্য দিতে হবে এসবিআইকে।বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে।এবার আরও কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ডিভিসন বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছে।বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন স্টেট ব্যাঙ্ক তা করছে না তা নিয়েও শীর্ষ আদালত কড়া বার্তা দিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের তথ্যে জানা যায়,বিজেপি সবথেকে বেশি নির্বাচনী বন্ডের সুবিধা ভোগ করেছে।অর্থাত্ বিজেপির কাছে গেছে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ। ৯৮৬.৫ কোটি টাকা পড়েছে বিজেপির দলীয় তহবিলে। অন্যান্য দলও কমবেশি অর্থ পেয়েছে।কিন্তু এই তথ্য একেবারেই সত্যি নয়।আসলে স্টেট ব্যাঙ্ক অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দায় সারছে,এরকমই একটি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিমকোর্টে। সেই মামলায় সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে,কোনও টালবাহনা না করে অবিলম্বে যাবতীয় তথ্য জনসমক্ষে আনতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ২১ মার্চ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে এসবিআইকে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে বিশেষ হলফনামা। স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। ব্যাঙ্কের দেওয়া সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করার জন্য নির্দেশে স্পষ্ট করা হয়েছে।এই অবস্থায় সামগ্রিক তথ্য প্রকাশ্যে আনতে কেন স্টেট ব্যাঙ্ক টালবাহানা করছে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে। বলা যায়,রাজনৈতিক দলগুলোকে সরাসরি অর্থ প্রদানের ধারা বদলাতে চালু করা হয় নির্বাচনী বন্ড। শিল্প সংস্থা বা উদ্যোগপতি, বা যেকোনও ব্যক্তি এই ইলক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেয়।
বলা যায়,পাঁচ রকম অঙ্কের ইলেক্টোরাল বন্ড হয়— ১ হাজার টাকা, ১০ হাজার টাকা, ১ লক্ষ, ১০ লক্ষ আর ১ কোটি টাকার।অনেক ফার্মা কোম্পানি এই ইলেক্টোরাল বন্ডের বেচাকেনায় জড়িত। বন্ডের চাঁদায় সব ফার্মা কোম্পানিকে টপকে পয়লা নম্বরে রয়েছে হায়দরাবাদের যশোদা সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গোষ্ঠী। বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল গোষ্ঠী এবং ৩৬টি ওষুধ কোম্পানি মিলে প্রায় ৯০৩ কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড কেনা হয়েছে ।তাই এই কারণেই কী কোডিডের মতো জাতীয় সমস্যার সময়েও ওষুধের দাম বাড়ে। প্রশ্ন ওঠে, কেন্দ্রের শাসক সহ প্রভাবশালী নেতাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই কী এই ওষুধের অগ্নিমূল্য ? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চায় নাগরিকরা,জানতে চান অনেকেই। জনস্বাস্থ্যের জরুরি বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশমতো স্টেটব্যাঙ্ক তথ্য প্রদানে কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেয় সেটাই লক্ষ্যণীয়।