দেশ

ফের বাংলায় প্রবেশের আশঙ্কা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের

Royal Bengal Tiger fears re-entry into Bengal

Truth Of Bengal: প্রথমে বাংলা, তারপর ঝাড়খণ্ড। বারংবার হুলা পার্টির মুখে জিনাত সঙ্গী। বিপদের আশঙ্কা করে জারি হাই অ্যালার্ট।

জানা যায়, রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে থাকা জিনাতের পুরুষ সঙ্গীকে খাঁচাবন্দি করতে শুরু হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান। হাতজি তাড়ানোর মতো করে এই অভিযানে নামানেো হয়েছে হুলা পার্টিকে। ফাটানো হয় প্রচুর পরিমাণে পটকা। তাতেই বিরক্ত হয়ে বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে সেখানেও হাতি তাড়াতে যে হুলা পার্টি ও পটকা ব্যবহার করা হয়, তাতেও বিপেদে পড়ে ওই বাঘ। চলে যায় পুরুলিয়া সিমানায়।

ঝাড়খণ্ড বনদফতর সূত্রে খবর, জামশেদজপুর ডিভিশনের বাঁশাডেরা জঙ্গলে ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সেখান থেকে পুরুলিয়া মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে। ঝাড়গ্রাম ৭-৮ কিলোমিটার দূরত্বে। পুরুলিয়াতে তো বটেই, একইসঙ্গে ঝাড়খণ্ড সীমানাতেও বনদফতরের নজরদারি জারি রয়েছে।

অন্যদিকে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে সুন্দরবনের যে টিম পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে রওনা হন ২ জন। বাকি ৪জন আপাতত থাকবেন বান্দোয়ানেই। বনবিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, মঙ্গলবার ওই বাঘটি পুরুলিয়া থেকে ৩ কিলোমিটার মিটার দূরে ছিল। তারপরে রাতে সে চলে যায় ঝাড়খণ্ডের ভেতরে। তারপরই বিপদ।

কারণ সেখানে সেইসময় হাতির দল তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল পটকা ও আগুন। সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে নেয় রয়্যাল বেঙ্গল। এদিন বিকেল পর্যন্ত ওই বাঘ যেখানে ছিল, সেখান থেকে দক্ষিন-পূর্বে গুড়পানা ও ঘাঘরা হয়ে সে ঢুকে যেতে সক্ষম হবে বান্দোয়ানে। তবে সোজা চলে গেলে প্রবেশ করবে ঝাড়গ্রামে। যার জেরে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া বনবিভাগের তরফ থেকে চলছে যৌথ নজরদারি। একইসঙ্গে দুই জেলার মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে বাঘের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য প্রদান। একইসঙ্গে বাঘের বাংলায় প্রবেশের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছে না বনদফতর।

Related Articles