
The Truth of Bengal: অক্টোবরের শেষদিক থেকে শুরু হয়েছিল। তারপর বাড়তে বাড়তে দিল্লির আকাশকে ঢেকে ফেলে দূষণের চাদর। দিনদিন আরও অবনতি হচ্ছে দূষণের চিত্র। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে আছে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার আকাশ। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ইতিমধ্যেই ৪০০ পার করেছে। যা নিরাপদ মাত্রার চেয়ে ৮০ গুণ বেশি। দূষণের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বেশিরভাগ মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন দিল্লির দূষণ ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। একমাত্র বৃষ্টিই পারে এই পরিস্থিতি বদলাতে। তাই সবাই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিলেন বৃষ্টির দিকে। কিছুটা স্বস্তি দিয়ে অবশেষে দিল্লিতে নামল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় দিল্লির বেশ কিছু অংশে। তাতে দিল্লির আকাশে থাকা দূষণের চাদর কিছুটা কেটে গিয়েছে। শুক্রবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দীপাবলির সময় আবার দূষণের মাত্রা বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা।
.বৃষ্টি হলেও শুক্রবারও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান বিপজ্জনক
.দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া ৫০টি সিগারেট খাওয়ার শামিল
.এখনও সামগ্রিক ভাবে দিল্লিতে বাতাসে AQI ৪০৭
.সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অশোক বিহারে, সেখানে AQI ৪৪৩
.আনন্দ বিহারে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৩৬
.রোহিণীতে AQI ৪২৯ এবং পঞ্জাবি বাগ এলাকায় ৪২২
দূষণের মাত্রা কমাতে ইতিমধ্যে দিল্লিতে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে আপ সরকার। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। তবে চাইলেই কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানো যায় না। তার জন্য বাতাসে জলীয় বাষ্প বা মেঘ থাকতে হবে। এখন অবশ্য দিল্লির আকাশে জলীয় বাষ্প দেখা যাচ্ছে। বেড়ে চলা দূষণে লাগাম টানতে এবার কি কৃত্রিম নামানো হবে দিল্লিতে। তাজা বাতাসে শ্বাস নেওয়ার জন্য এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছে দিল্লিবাসী।