পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে নজর ঘোরাতেই ভারতে জঙ্গি পাঠাচ্ছে পাকিস্তান, মত সাবিরের
Pakistan to divert attention

The Truth of Bengal: গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিপ্যাক প্রকল্পে তাদের জমি নিলেও, স্থানীদের উন্নয়ন প্রকল্পে কিছুই করা হয়নি। বরং কোনও প্রতিবাদ করলে, তাঁদের ধরে ধরে জেলে পোরা হচ্ছে। সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্কার্দুতে বিক্ষোভ এতোটাই দানা বাঁধে যে, বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা করে দেয়, কার্গিলের সীমানা খুলে দেওয়া হোক তারা ভারতের সঙ্গে মিশে যেতে চায়।
এর পর থেকেই স্কার্দুতে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু হয়। নামানো হয় সেনা। রাত বিরেতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। আর এই ছবি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাওয়ার পরেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই, ভারতে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। লন্ডন থেকে এমনই অভিযোগ তুললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একজন সমাজকর্মী ডঃ সাবির চৌধরী। তিনি বর্তমানে লন্ডনে নির্বাসিত হিসেবে রয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, অনন্তনাগে জঙ্গি হামলা হওয়ার ১০ দিন আগেই তিনি বন্ধু বান্ধবদের বলেছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যা হচ্ছে, তা ধামাচাপা দিতেই, ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ছক কষবে পাকিস্তান। তাঁর দাবি, ভারতে যে জঙ্গি হামলা হবে, তার আগাম কোনও তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে যে ভাবে ঘটনা পরম্পরা এগিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, পাক সরকার এর বাইরে আর কিছুই করতে পারবে না।
সাবির বলেছেন, অনন্তনাগে জঙ্গি হামলার আগেই আমি আন্দাজ করেছিলাম, পাক সরকারের হাতে এ ছাড়া কোনও উপায় নেই। কারণ স্কার্দুসহ গিলগিট বাল্টিস্থানে যা ঘটছে, তা চাপা দিতে একমাত্র রাস্তা এটাই। পাক সরকার চায় না কোনও সুরাহা হোক।
রাজনৈতিকমহলের মত, গিলগিট বাল্টিস্থানে যা হচ্ছে, তা বর্তমানে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে পাক সরকারের ক্ষেত্রে। গিলগিট বাল্টিস্থান যদি হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে, পুরোপুরি বিপাকে পড়বে পাকিস্তান ও চিন। কারণ সিপ্যাক প্রকল্প পুরোটাই বিফল হয়ে যাবে। তাই এই পথকে বাঁচাতে মরিয়া পাকিস্তান ও চিন।