দেশ

শুধুমাত্র ব্যাঙ্গালোরেই সম্ভব! মোমো স্টলে এসেও অফিসের কাজে ব্যস্ত যুবক

Only possible in Bangalore! The young man is busy with office work even after coming to Momo stall

Truth Of Bengal: একজন পুরুষের ল্যাপটপ নিয়ে খাবারের স্টলের সামনে অপেক্ষার দৃশ্য একটি বৃহত্তর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই দৃশ্যটি প্রযুক্তি পেশাদারদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত উত্থাপন করেছে। অন্য কোনো শহরে এটি অস্বাভাবিক মনে হলেও, বেঙ্গালুরুর মতো প্রযুক্তির রাজধানীতে এটি একেবারেই স্বাভাবিক চিত্র। প্রযুক্তি পেশাদারদের জীবনযাত্রার সাথে সামাজিক জীবনের মিশ্রণ এখানকার প্রেক্ষাপটে একদম স্বীকৃত।

একজন X ব্যবহারকারী, Kritika Kumari, তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি ছবি আপলোড করেছেন—একজন প্রযুক্তিবিদের মোমো স্টলে ল্যাপটপ ব্যবহার করার ছবি এবং ক্যাপশন দিয়েছেন “তার অগ্রাধিকারগুলি সব গুছানো।”

এই ছবির মন্তব্য বিভাগে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন, যেমন কিছু ট্রোলিং, কিছু সমালোচনা এবং কিছু হাস্যরসাত্মক মন্তব্য। কর্পোরেট কর্মচারীদের উপর নানা ধরনের ঠাট্টা-মস্করা চলছে মন্তব্য বিভাগে।

একজন X ব্যবহারকারী লিখেছেন, “নিজের কোড থেকে বাগ মেরে ফেলা।” আরেকজন ছবিটিকে “কর্পোরেট কর্মচারী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অপর একজন X ব্যবহারকারী D Shivsagar মন্তব্য করেছেন, “কর্পোরেটরা প্রাইভেসি সুরক্ষা ও ডেটা সুরক্ষা শেখায়.. সবই পানিতে গিয়ে পড়েছে।”

কিছু ব্যবহারকারী নিজেরা হাস্যরসাত্মক প্রেক্ষাপটে সেই প্রযুক্তিবিদ এর ছবির ব্যাখ্যা করেছেন। একজন লিখেছেন, “কিছুই না, ফোন অফিসে ভুলে রেখে এসেছে, তাই মোমো অর্ডার করতে নেট ব্যাংকিং করে টাকা ট্রান্সফার করছে।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “হয়তো ঘুরতে গিয়ে ফোন হারিয়ে গেছে। তাই ল্যাপটপ ব্যবহার করে খাবার অর্ডার করছে।”

এটি একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মনে হতে পারে যেখানে এক যুবক প্রযুক্তি পেশাদারকে এমনভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। মার্চ মাসে একটি মানুষের থিয়েটারে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল, যা কর্পোরেট কর্মচারীদের কর্মনিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। একই মাসে, একটি বাইক আরোহীর ভিডিও কলের মাধ্যমে দেশের সিলিকন ভ্যালিতে দুই চাকার গাড়ি চালানোর দৃশ্য ভাইরাল হয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।

Related Articles