দেশ

৬বছর পর নতুন সরকার, আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ওমর আবদুল্লা

Omar Abdullah will be sworn in as Chief Minister next week

Truth of Bengal: রবিবারই জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসনের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। ফলে ভূস্বর্গে নতুন সরকার গঠনের পথ খুলে যায়। সেইমতো আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ওমর আবদুল্লা। এর আগে কংগ্রেস-ন্যাশানাল কনফারেন্সের জোটের তরফে ওমর আবদুল্লাকে নেতা নির্বাচিত করা হয়।

উল্লেখ্য,২০১৯-এর ৩১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসন লাগু হয়।সেসময় জম্মু-কাশ্মীরও লাদাখকে  কেন্দ্র শাসিত  অঞ্চল বলে ঘোষণা করে দিল্লির বিজেপি সরকার। মোদি-শাহদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল,ভূস্বর্গের  ভোটে ভালো ফল করা। কারণ ৩৭০ধারা বাতিল করে কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসনের পর এবারই সেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়। রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার মতো বিষয়কে ইস্যু করে ন্যাশানাল কনফারেন্স।কংগ্রেসের হাত ধরে ইন্ডিয়া জোট বিজেপির একাধিপত্যের রাজনীতিকে টক্কর দিতে নামে।

জোট রাজনীতির সমীকরণ বুঝে বিজেপি জম্মু- কাশ্মীরের মানুষের কাছে হাইটেক প্রচারে মেতে ওঠে। প্রচারে ঢাক পেটালেও ইভিএমে ফসল তুলতে পারেনি পদ্ম শিবির। উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিফলে যায়। মোদি ম্যাজিক ম্লান হয়ে যায় কাশ্মীরে। ন্যাশানাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস একযোগে লড়াই করায় বিজেপি পর্যুদস্ত হয়। দ্বিমেরুর রাজনৈতিক টক্করে  কাশ্মীরে ব্যাকফুটে চলে যায়  কেন্দ্রের শাসকরা।বরং তারা বরাবরের ভিত্তিভূমি জম্মুতে গেরুয়ারাজের জমি ধরে রাখে। বিজেপির দখলে রয়েছে ২৯টি আসন।

পিডিপির মতো তৃতীয় শক্তি ধরাশায়ী হওয়ায়   উপত্যাকায় বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও ন্যাশানাল কনফারেন্স। পিডিপির দখলে রয়েছে ৩টি লোকসভা আসন। রাজনৈতিক মহল বলছে,গতবার বিজেপির হাত ধরায় কাশ্মীরবাসীকে পিডিপিকে উচিত শিক্ষা যেমন দিয়েছে,তেমনই আবার বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিও প্রান্তিক রাজ্যে ঠাঁই পায়নি। সবমিলিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায়  জম্মু-কাশ্মীরে   নতুন সরকারের পথ চলা শুরু হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে।

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ওমর আবদুল্লা। এর আগে কংগ্রেস-ন্যাশানাল কনফারেন্সের জোটের তরফে ওমর আবদুল্লাকে নেতা নির্বাচিত করা হয়।ফারুক আবদুল্লার পুত্র ওমর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।তাঁর প্রশাসন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই ওমরকে কংগ্রেস নেতা হিসেবে মেনে নেওয়ায় জোটের বোঝাপড়া শক্তিশালী হয়েছে।ক্ষমতার রাশ হাতে পাওয়ার পর ওমরের সামনে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। ভূস্বর্গে শান্তি-সুস্থিতি বজায় রেখে উন্নয়নের ভাবনা কার্যকর করা থেকে লাদাখে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীদের মর্যাদাদানের মতো বিষয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

উল্লেখ্য,২০১৯-এর ৩১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসন লাগু হয়।সেসময় জম্মু-কাশ্মীরও লাদাখকে  কেন্দ্র শাসিত  অঞ্চল বলে ঘোষণা করে দিল্লির বিজেপি সরকার। এখন মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার রাজ্যের অধিকার বজায় রাখতে চায়।বিশেষ করে কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য বেশকিছু প্রস্তাব বিধানসভায় আনা হতে পারে। ভূস্বর্গের মানুষেরপ্র্ত্যাশা পূরণ থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করাও জোট সরকারের কাছে বড় বিবেচ্য বিষয়। তাই দীর্ঘ ৬বছর পর ক্ষমতায় বসতে চলা ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সার্বিকভাবে কতটা সফল হয় তাও দেখার।

Related Articles