শিশুর গভীর ক্ষতে সেলাইয়ের বদলে ফেভিকুইক আঠা! নার্সের সিদ্ধান্তে তোলপাড় দেশ
Nurse's decision to use Feviquik glue instead of stitches on child's deep wound causes uproar across the country

Truth of Bengal: হাভেরি জেলার হনাগল তালুকের আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। সাত বছরের এক শিশুর গভীর ক্ষতে সেলাইয়ের পরিবর্তে ফেভিকুইক আঠা ব্যবহার করেছেন এক নার্স।
A shocking incident at Adoor Primary Health Center in #Karnataka’s Haveri district has raised concerns over healthcare quality. On January 14, Nurse Jyoti used Feviquick adhesive instead of stitches to treat a deep wound on a 7-year-old boy’s cheek. The boy, Gurukishan Annappa… pic.twitter.com/a9nsPudzVO
— South First (@TheSouthfirst) February 4, 2025
এই ঘটনা ঘটে ১৪ জানুয়ারি, তবে এটি পরে প্রকাশ্যে আসে। গুরুকিশান অন্নাপ্পা হোসামানি নামের ৭ বছর বয়সি এক শিশু খেলার সময় দুর্ঘটনাবশত তার গালে গভীর কাটা লাগে। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তাই তাকে দ্রুত আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সঠিক চিকিৎসার পরিবর্তে, কর্তব্যরত নার্স জ্যোতি ক্ষতে সেলাই না করে সেখানে ফেভিকুইক আঠা ব্যবহার করেন! এই অস্বাভাবিক চিকিৎসার কারণ জানতে চাইলে নার্স জ্যোতি বলেন, ‘‘সেলাই করলে ছেলের গালে দাগ থেকে যেত। আমি ভেবেছিলাম ফেভিকুইক ব্যবহার করাই ভালো হবে। যদি কাজ না করত, তাহলে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতাম।’’
শিশুটির বাবা-মা নার্সের এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করেন এবং আদুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, নার্স নিজেই ফেভিকুইক ব্যবহারের কথা স্বীকার করছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক (DHO) রাজেশ সুরগিহাল্লি দ্রুত পদক্ষেপ নেন। নার্স জ্যোতির এই কাজ স্পষ্টতই গাফিলতির উদাহরণ হলেও, তাকে বরখাস্ত করা হয়নি। তবে শাস্তিস্বরূপ তাকে হাভেরি তালুকের গুঠ্থাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা চাচ্ছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন গাফিলতি আর না ঘটে, সেজন্য প্রশাসন আরও কঠোর ব্যবস্থা নিক।