এবার কেরল! ঋণের চাপে আত্মঘাতী একই পরিবারের ৪
Now in Kerala! 4 of the same family commit suicide due to debt pressure

Truth Of Bengal: হরিয়ানার পর এবার কেরল।ফের ঋণের দায়ে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের চার সদস্যের। কেরলের ভাক্কাম শহরে ঘটে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী-স্ত্রী এবং দুই সন্তানের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে দম্পতির বাড়ি থেকেই। মৃতরা হলেন বছর পঞ্চান্নর অনিল কুমার, তাঁর স্ত্রী শ্রীজা, এবং তাঁদের দুই সন্তান।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই পরিবারটির কাউকে বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। আর সেই সন্দেহের জেরে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান মর্মান্তিক দৃশ্য। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে অনিল দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই কারণেই সম্ভবত সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যের খোঁজ চলছে। সেইসঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছে পুলিশ। নিহত চার সদস্যের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। এই পুরো ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
অন্যদিকে, হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ২০ কোটি টাকার ঋণে জড়িয়ে পড়ার জেরে একই পরিবারের ছয় সদস্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, ৪২ বছর বয়সি প্রবীণ মিত্তল সহ আরও পাঁচ জন। জানা গিয়েছে, তাঁরা বাগেশ্বর ধামের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। পথেই গাড়ির ভিতরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন সবাই।একটি বাড়ির সামনে দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। গাড়ির ভিতরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের এক মামাতো ভাই জানান, প্রবীণ মিত্তলের ব্যবসায় বড়সড় লোকসান হওয়ায় বিপুল ঋণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই চাপেই এই চরম সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। তেমনই দুটি হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এল কেরল ও হরিয়ানার পঞ্চকুলা থেকে। আর্থিক সংকট কতটা ভয়ানক হতে পারে, তার মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত রাখল এই দুই পরিবার। সমাজে ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ ও মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে এই দুই ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সংকটে মনোবিদদের সহায়তা ও যথাযথ আর্থিক পরামর্শ ব্যবস্থা জরুরি হয়ে উঠছে।