ভোটের বিহারে ‘কল্পতরু’ নির্মলা, বাংলাকে শুন্য হাতে ফেরাল কেন্দ্র
Nirmala, a 'fantasy' in Bihar, returns empty-handed to Bengal

Truth Of Bengal :শরিক নির্ভর হয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্ষমতা ধরে রাখতে তাই আাবারও শরিক জেডিইউ-এর মনজয় করতে বাজেটে বিহারের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।বিহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে মাখনা বোর্ড। একইসঙ্গে বিহারে ৩টি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর তৈরি সহ বেশকিছু কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। বিহারকে ঢালা সহায়তা দেওয়া হলেও কেন বাংলার ১লক্ষ ৬৫হাজার কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে নতুন কিছু ঘোষণা করা হল না,সেই প্রশ্নই তুলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির।
রাজধর্ম মেনে সবরাজ্যকে সমান চোখে দেখা কেন্দ্রের কর্তব্য।কিন্তু সেই কর্তব্যপালনে কেন্দ্রের সরকার কোথাও যেন খামতি রাখছে না।শরিক ভজনা করতে গিয়ে বিহারকে দেদার সহায়তাও উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিলেও বাংলাকে বঞ্চিতের তালিকাতেই রাখল বলে অভিযোগ।গতবছরের বাজেটে দেখা যায়,বিহার –অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ৪১হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।নীতিশ কুমারের বিহারের সড়ক প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয় ২৬হাজার কোটি টাকা।এছাড়াও শরিক টিডিপির মন রাখতে অন্ধ্রের জন্য ১৫হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
চন্দ্রবাবুর রাজ্য অমরাবতীতে নতুন রাজধানী নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য করা হয় কেন্দ্রীয় বাজেটে। আর এবার ২০২৬-এর ভোটের দিকে তাকিয়ে দেদার প্রকল্প ঘোষণা করা হল।রাজনৈতিক মহল বলছে,বিহারে শরিক নির্ভরতা কমিয়ে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সেরাজ্যের কৃষক থেকে শিক্ষিত সমাজের সমর্থন নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিচ্ছে।জয়যাত্রা নিশ্চিত করতে আর্থিক প্যাকেজের পর আর্থিক উন্নয়নের বার্তা নির্মলা সীতারামনের।লক্ষ্যণীয়ভাবে এবার বাজেট বক্তৃতা দিতে আসার সময় নির্মলা পদ্মশ্রী দুলারি দেবীর উপহার দেওয়া মধুবনী শিল্পরীতিতে তৈরি শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করতে আসেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী। বিজেপি সরকার বিহারকে ঢালাও বরাদ্দ করল।
বিহারের ভোটের দিকে তাকিয়ে নীতীশ ভজনা হলেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কিনারায় বাংলা।তৃণমূল সুপ্রিমোর দেখানো পথেই সোচ্চার কণ্ঠে সমালোচনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বিরোধীরা বলছে, কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের এই রাজ্যগুলোর প্রতি রং দেখে উন্নয়ন সহায়তা করা বা পরিকল্পনা ঘোষণা করা সত্যিই সমালোচনার যোগ্য।