দুবাই লিঙ্কের পর এনআইএ নিতে চলেছে তাহাউর রানার গলার নমুনা
NIA to take throat sample of Tahaur Rana after Dubai link

Truth Of Bengal: মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর রানাকে এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনেই তাহাউর রানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এখন এনআইএ রানাকে তার দুবাই সংযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং ২০০৮ সালে তিনি দুবাইতে কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে। এনআইএ সন্দেহ করছে যে দুবাইতে থাকা ওই ব্যক্তির কাছে মুম্বই হামলার তথ্যও থাকতে পারে।
এনআইএ তাহাউর রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে, যাতে সেই কণ্ঠস্বরের নমুনা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মুম্বই হামলার সময় তাহাউর রানা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। মুম্বই হামলায় ১৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে, কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য তাহাউর রানার সম্মতি প্রয়োজন। যদি রানা নমুনা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে নমুনা নেওয়ার জন্য এনআইএকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তবে, যদি এনআইএ এই তথ্য লিপিবদ্ধ করে যে তাহাউর রানা চার্জশিটে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা দেননি, তাহলে পরবর্তীতে তাহাউর রানার সমস্যা আরও বাড়বে।
তাহাউর রানা তাঁর সেনাবাহিনীর চাকরির প্রতি খুব আগ্রহী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডাক্তারি পাস করার পর তিনি সেনাবাহিনীতে চিকৎসক হিসাবে যোগ দেন। এই সময়ে তিনি আইএসআইয়ের সংস্পর্শে আসেন এবং তারপর লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দেন। যখনই আইএসআই এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিনিধিদের মধ্যে কোনও বৈঠক হত, তাহাউর রানা প্রায়শই সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সেখানে উপস্থিত হতেন।
রানা জানিয়েছেন, তিনি প্রায়শই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির শিবির পরিদর্শন করতেন। রানা মুম্বই হামলার আরেক প্রধান ষড়যন্ত্রকারী সাজিদ মীরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, রানার লস্কর-ই-তৈয়বার পাশাপাশি হরকাত উল জিহাদ আল ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল।
তাহাউর রানা মেডিক্যাল ডিগ্রিধারী এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কর্পসে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনী ত্যাগ করার পর, তিনি ১৯৯৭ সালে কানাডায় স্থায়ী হন। তাহাউর রানার স্ত্রীও একজন ডাক্তার, যার নাম সম্রাজ রানা আখতার। তাহাউর রানা কানাডায় একটি অভিবাসন পরামর্শ সংস্থা শুরু করেছিলেন। ইমিগ্রেশন ফার্মের মাধ্যমেই তাহাউর রানা ডেভিড হেডলিকে ভারতীয় ভিসা পেতে সাহায্য করেছিলেন।