KIIT বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি ছাত্রীর আত্মহত্যা, গ্রেফতার প্রেমিক, বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস
Nepali student commits suicide at KIIT University, boyfriend arrested, campus in turmoil with protests

Truth Of Bengal: ভুবনেশ্বরের KIIT বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রকৃতি লামসাল-এর মৃত্যুর ঘটনায় তার প্রেমিক অদ্বিক শ্রীবাস্তবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রকৃতি নেপালের বাসিন্দা, B.Tech তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, “মৃত ছাত্রীর পরিবারকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রকৃতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনার পর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক যুবক এক তরুণীকে গালিগালাজ ও হয়রানি করতে শোনা যায়। অনেকে দাবি করছেন, ওই কণ্ঠ অদ্বিক ও প্রকৃতির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের দাবি, প্রকৃতি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অফিস (IRO)-এ বিষয়টি জানিয়েছিলেন, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রকৃতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে প্রকৃতির জন্য ন্যায়বিচার দাবি জানায়। এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রকৃতি বারবার অভিযোগ করেছিল, কিন্তু কেউ শোনেনি। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রশাসন ও অভিযুক্ত। আমরা ন্যায়বিচার চাই!”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত: নেপালি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জ্ঞান রঞ্জন মহান্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “প্রকৃতি তার প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সম্পর্কের টানাপোড়েনে তিনি চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার পরিবারকে জানানো হয়েছে এবং পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।”
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিতর্কিত নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছে, সকল নেপালি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “KIIT বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল নেপালি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে। তাদের ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেপালি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেকেই এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে নিন্দা করেছেন। পুলিশের তদন্ত এখনো চলছে।