
Truth Of Bengal: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর রেশম বাগে হেডগেওয়ার স্মৃতিমন্দিরে উপস্থিত হলেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তিনি ঘুরে দেখলেন স্মৃতিমন্দির। সেখানে একটি বার্তা লিখে এলেন তিনি। মন্দির পরিদর্শন করে তিনি কতটা অভিভূত, সেটাই বোঝালেন নিজের বার্তায়।
তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ এবং সঙ্ঘের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থানই জাতির সেবায় আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা চাই, আমাদের প্রচেষ্টা ভারতকে আরও উজ্জ্বল করুক।’ প্রধানমন্ত্রী এদিন মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই সময় তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেন। তাঁর ভাষণে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং এর স্বেচ্ছাসেবকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সংঘ হল অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ এবং যেখানেই সেবামূলক কাজ করা হচ্ছে, সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা আছেন। মোদি বলেন, ‘রাষ্ট্রযজ্ঞের এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আজ, চৈত্র শুক্লা প্রতিপদ। এই দিনটি খুবই বিশেষ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রির পবিত্র উৎসব। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গুড়ি পদোয়া, উগাদি এবং নবরেহ উৎসবও পালিত হচ্ছে।
আজ ভগবান ঝুলেলাল জি এবং গুরু অঙ্গদ দেব জি-এরও জন্মবার্ষিকী। এটি আমাদের অনুপ্রেরণা, পরম শ্রদ্ধেয় ডঃ সাহেবের জন্মবার্ষিকীরও উপলক্ষ। এই বছর আরএসএস-এর গৌরবময় যাত্রার ১০০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। আজ, এই উপলক্ষে, আমার স্মৃতি মন্দির পরিদর্শন করার এবং শ্রদ্ধেয় ডঃ সাহেব এবং শ্রদ্ধেয় গুরুজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সৌভাগ্য হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আগামী মাসে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীও। আজ আমি দীক্ষাভূমিতে বাবা সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছি এবং তাঁর আশীর্বাদও নিয়েছি। এই মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে, আমি দেশবাসীকে নবরাত্রী এবং সমস্ত উৎসবের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’ সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘লালকেল্লা থেকে আমি সকলের প্রচেষ্টার কথা বলেছিলাম।
আজ দেশ স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেভাবে কাজ করছে, মাধব নেত্রালয় সেই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। দেশের সকল নাগরিক যাতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পান, তা আমাদের অগ্রাধিকার। দেশের দরিদ্রতম মানুষও যেন সর্বোত্তম চিকিৎসা পায়, দেশের কোনও নাগরিক যেন জীবনযাত্রার মর্যাদা থেকে বঞ্চিত না হয়, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এমন বয়স্কদের চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত না হওয়া উচিত, এটাই সরকারের নীতি।
অতএব, আজ আয়ুষ্মান ভারতের কারণে কোটি কোটি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। গত ১০ বছরে, গ্রামে লক্ষ লক্ষ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির নির্মিত হয়েছে। যেখান থেকে মানুষ দেশের সেরা ডাক্তারদের কাছ থেকে টেলিমেডিসিন পরামর্শ, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং আরও সহায়তা পাচ্ছেন। তাঁদের রোগ পরীক্ষা করানোর জন্য শত শত কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হচ্ছে না।’