
Truth Of Bengal: বিআর আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীতে হরিয়ানার হিসার বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা এদিন করেন প্রধানমন্ত্রী। বলাবাহুল্য, এই বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে দু’বার অযোধ্যার বিমান এবং সপ্তাহে তিনটি বিমান যাবে জম্মু, আহমেদাবাদ, জয়পুর এবং চণ্ডীগড়ে। তাতে বেশ উপকৃত হবেন আমজনতা।
অন্যদিকে হরিয়ানার হিসার বিমানবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, সংবিধানকে ব্যবহার করে কংগ্রেস কেবল রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে, কিন্তু অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর প্রকৃত কল্যাণে নজর দেয়নি। মোদির দাবি, “আমার সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাবাসাহেব আম্বেদকরকে উৎসর্গ করা হয়, কিন্তু কংগ্রেস জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানকে হত্যা করেছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধির উল্লেখ থাকলেও কংগ্রেস কখনও তা কার্যকর করেনি। উত্তরাখণ্ডে যখন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হয়েছে, তখনও তার বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। ওয়াকফ আইন নিয়ে মোদি বলেন, “ভোটব্যাঙ্কের ভাইরাসে আক্রান্ত কংগ্রেস এই আইনটিরও বিরোধিতা করছে।”
বলা বাহুল্য,এই ওয়াকফ আইন পাশ হওয়া নিয়ে দেশের একাধিক রাজ্যে তৈরি হয়েছে বিক্ষোভ পরিস্থিতি। আর নতুন সংশোধিত আইন নিয়ে যখন দফায় দফায় পারদ চড়ছে তা নিয়ে এদিন মোদি কটাক্ষ করে বলেন, “যদি মুসলিমদের নিয়ে এতই চিন্তা থাকে, তাহলে কংগ্রেস আজ পর্যন্ত কোনও মুসলিমকে দলের সভাপতির পদে বসায়নি কেন?” তিনি আরও যোগ করেন, ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার করে অনেক দরিদ্র ও দলিত মানুষের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যা নতুন আইনে আর সম্ভব নয়। এখান থেকে একথা স্পষ্ট যে বিআর আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীর দিন প্রতি মুহূর্তে সংবিধানের স্রষ্টাকে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “বিজেপি অতীতেও আম্বেদকরের বিরোধী ছিল, আজও তাই। যখন তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তখন এদের নেতারা বলেছিলেন, তাঁর ছোঁয়ায় ভগবান বুদ্ধ অচ্ছুৎ হয়ে গিয়েছেন।” খাড়গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “বিজেপি বলুক, তারা আম্বেদকরের কোন আদর্শ গ্রহণ করেছে?” পাশাপাশি, তিনি প্রশ্ন তোলেন—মহিলাদের সংরক্ষণ বিল আইনসভায় পাশ হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি কেন।