সাসপেনশন অনৈতিক, এই দাবিতে সংসদ চত্বরে প্রতিবাদ জারি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদদের
Protest MP Suspended

The Truth of Bengal: আজ মঙ্গলবার বৈঠক বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। তার আগে বেশ ঐক্যবদ্ধ দেখালো ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে। চলতি অধিবেশনে এখনও পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেন্ড ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে। সংসদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। একজোট হয়ে শুরু করেছে প্রতিবাদ। মঙ্গলবার সংসদ ভবনের সিঁড়িতে বসে প্রতিবাদে শামিল হন বিরোধী সাংসদরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রতিবাদী সাংসদরা গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেন। সেখানেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন তাঁরা। কেন্দ্রের এই মনোভাবকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে দাবি করে চলতে থাকে বিক্ষোভ।
কোনও একটি অধবেশন চলাকালীন এক সঙ্গে এত জন সাসপেন্ড করার ঘটনা দেশের সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন। সোমবার প্রথমে লোকসভা থেকে ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। পড়ে রাজ্যসভা থেকে ৪৫ জনকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। গত ১৪ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ১৫ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন লোকসভা, আর ১ জন ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। তারপর সোমবার মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।
একসঙ্গে এত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের প্রতিবাদ জারি আছে। কেন এই সাসপেন্ড? সোমবার লোকসভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় নয়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন বিরোধী দলের সাংসদরা। শুরু হয় তুমুল হই হট্টগোল। দু’দফায় অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। কিন্তু তারপরেও যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তখন সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বিরোধী দলের ৩৩ জন সাংসদকে। কিছুক্ষণ পড়ে রাজ্যসভায় সাসপেন্ড হন ৪৫ জন সাংসদ।
যা নিয়ে প্রতিবাদ জারি আছে বিরোধীদের। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় কণ্ঠ অবরুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য এই শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে বিরোধীদের ওপর। এই অভিযোগ তুলে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদ লোকসভা ভবনের বাইরে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। সংসদকে বিরোধী-শূন্য করে দেওয়ার জন্য একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে প্রতিবাদী সাংসদদের।