দেশ

মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নানের আশা, সাগর অভিমুখে লাখো পুণ্যার্থী

Millions of pilgrims towards Gangasagar

The Truth Of Bengal : কথায় বলে সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। পুণ্যস্নানের জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ গঙ্গাসাগর আসেন। মকর সংক্রান্তির সময় সেই গঙ্গাসাগর চত্বর হয়ে ওঠে কার্যত মিনি ভারতবর্ষ। ভিড় ও কৌলিন্যের নিরিখে গঙ্গাসাগর মেলার অবস্থান কুম্ভ মেলার ঠিক পরেই। যে বছর কুম্ভমেলা থাকে না, সেই বছর গঙ্গাসাগরে ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তের শেষ সীমানা গঙ্গাসাগর। তারপর ধু ধু জলরাশি।

আদিগন্ত সেই জলরাশির কিনারে কপিল মুনির আশ্রম ঘিরে গড়ে উঠেছে এই পুণ্যভূমি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। বুধবার থেকে পুরোদমে চালু হয়ে গেল। এখন হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসতে শুরু করেছেন। ভিড় বাড়ছে মেলায়। বুধবার সপরিবারে মেলায় আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সফর ঘিরে প্রশাসনের তরফে সমস্তরকম ব্যবস্থা রাখা হয়। মাস খানেক আগে থেকে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়। মেলা শুরু হওয়ার আগে সেই কাজ শেষ হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করে মেলার প্রস্তুতিপর্ব সেরে নেন। এবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্থান। সেদিন কয়েক লাখ মানুষের ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।

গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছনো একটা সময় কঠিন নয়, কার্যত দুরূহ ছিল পুণ্যার্থীদের কাছে। বিস্তর হ্যাপা পোহানোর পর পুণ্যার্থীর পৌঁছতে পারতেন গঙ্গাসাগর মেলায়। সেই মেলায়ও ছিল না দারুণ কিছু পরিকাঠামো। এক কথায়, পুণ্যার্জনের টানে অনেক কষ্ট সহ্য করে গঙ্গাসাগর মেলা যেতেন গোটা দেশের পুণ্যার্থীরা। গঙ্গাসাগর মেলার সেই ছবি এখন অতীত। রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই উদ্যোগী হন গঙ্গাসাগর মেলার সার্বিক পরিস্থিতি বদলাতে। তাঁর সেই নিরলস চেষ্টায় আজ গঙ্গাসাগর মেলা ঝা চকচকে হয়েছে। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এখন আর খুব একটা কষ্ট সহ্য করতে হয় না পুণ্যার্থীদের। কলকাতা থেকে খুব সহজেই পৌঁছনো যায় সাগরদ্বীপে। পুণ্যস্নান সেরে আবার নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন পুণ্যার্থী। এখন সেই পুণ্যার্থীদের ভিড় সাগর অভিমুখে।

 

FREE ACCESS

Related Articles