দেশ

ভোট মিটতেই বয়ান বদল ‘সাক্ষী’র!

Sakshi' Changed Speech

The Truth of Bengal: খোদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযোগ করেছিল, মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে জড়িত ছত্তিশগড়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। এমনই অভিযোগ প্রাকাস্যে আসে ভোটের দিন কয়েক আগে। ভোট মিটতেই সেই অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। যে সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে ইডি বাঘেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলো, তিনিই এবার উলটো কথা বলছেন। আসলে মহাদেব অ্যাপ কাণ্ডে কিছুদিন আগেই অসীম দাস নামের এক ব্যক্তিকে ইডি গ্রেপ্তার করে। ইডির দাবি, এই অসীম দাসই বাঘেল-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন। অসীম দাসের লিখিত বয়ানও ছিল ইডির কাছে।

ভোট মেটার পর সেই অসীম দাসই ভোলবদলে বলছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল, তিনি কাউকে কোনও টাকা পৌঁছে দেননি। অসীম দাস জেল থেকেই ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলছেন, ভুপেশ বাঘেলকে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ তিনি করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় লেখা একটি জবানবন্দিতে জোর করে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। অসীমের দাবি, ইংরাজি ভাষাটা ভালো না জানায়, ওই জবানবন্দিতে কী লেখা হয়েছিল, সেটা তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। অসীম দাসের দাবি, মহাদেব অ্যাপের শীর্ষ কর্তা শুভম সোনি তাঁর বন্ধু।

সেই তাঁকে বলেছিল ছত্তিশগড়ে ব্যবসা করার জন্য টাকা পাঠাবে। তার পর তিনি ফোন পেয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের গাড়িটি রেখে দেন। সেখানেই অন্য কেউ এসে টাকা দিয়ে যায়। সেই টাকা নিয়ে হোটেলে যেতেই তিনি দেখেন ইডি কর্তারা তাঁর ঘরে হাজির। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। কংগ্রেস বলছে, অসীম দাসের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে আসায় এটা স্পষ্ট যে ভোটের আগে ভুপেশ বাঘেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল ইডি। সবটাই করা হয়েছিল কংগ্রেসকে ফাঁসানোর জন্য যাতে ভোটে এর প্রভাব পড়ে। ভোট মেটায় সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

Free Access

Related Articles