বিয়ের পর লিভ-ইন সম্পর্ক নয়, কাদের জন্য এই নির্দেশ আদালতের
It is not a live-in relationship after marriage, for whom this order is from the court

The Truth of Bengal: ইসলাম রীতি অনুসারে যদি কোনও ব্যক্তির বৈধ স্ত্রী থাকে তাহলে তিনি অন্যকোনও মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্মৌ বেঞ্চ আরও জানিয়েছে,একাধিক সম্পর্ক রাখা একেবারেই বাঞ্চনীয় নয়।পর্যবেক্ষণে আরও জানানো হয়েছে, বৈবাহিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সাংবিধানিক নৈতিকতা ও সামাজিক নৈতিকতার মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি।
কেন এই ধরণের মন্তব্য করল আদালত ?
এবিষয়ে জানা গেছে,এক হিন্দু মহিলাকে অপহরণের গুরুতর অভিযোগ ওঠে মুসলিম এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।সেবিষয়ে অপহরণের মামলা খারিজের জন্য তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতে ওই মুসলিম ব্যক্তি দাবি করেন,তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। মেয়েটির পরিবার এই লিভ-ইন সম্পর্ককে সামাজিক বন্ধনের মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে। এদিকে, এ বিষয়ে আদালত যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে সেজন্য অনুরোধ করেন আবেদনকারী। পাশাপাশি ওই সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় আবেদেনকারীরা তাঁদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন করেন। শুনানিতে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি আতাউর মাসুদি ও বিচারপতি অজয় কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ মহম্মদ সাদাব খানের সঙ্গে থাকা ওই মহিলাকে বাবা-মায়ের সুরক্ষিত জায়গায় রাখার নির্দেশ জারি করেছে। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে,যদি কোনও ইসলাম ধর্মাবলম্বী পুরুষ বা মহিলা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন তাহলে কোনওভাবেই তা মান্যতা পারে না। বেঞ্চ ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, মহম্মদ সাদাব খান ইতিমধ্যে ফারিদা খাতুন নামে একজনকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের ২০২০সালে বিয়ে হয়।এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে। সামাজিক শান্তি ,সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য এই ধরণের অবৈধ সম্পর্ক যে কাম্য নয় এই শুনানি পর্বে আদালত সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছে।