
Truth of Bengal: জোরালো ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। মার্চ মাসে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের জেরে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এই দেশ। তাই এমন পরিস্থিতিতে মায়ানমারে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। অপরেশন ব্রহ্মের অধীনে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের একাধিক এয়ারক্রাফ্ট ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিতে মায়ানমারে পৌঁছাচ্ছে। আর এই সময় ঘটল বিপত্তি।
ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিতে যাওয়ার সময় সাইবার হানার শিকার হয় ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারক্রাফ্ট। ২৯ মার্চ সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্টে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, এয়ারক্রাফ্টটি মায়ানমারের আকাশসীমায় প্রবেশের পরেই ঘটে এই সাইবার হানা। মুলত জিপিএস স্পুফিং-এর মাধ্যমে এই সাইবার হানা চালান হয়েছে বলে খবর। সে সময়ে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেমসের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জিপিএস সিগন্যাল নষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে সাইবার হামলা চালান হয়েছিল। রবিবার এই পুরো ঘটনার কথা সামনে তুলে আনেন ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে শুরু হয়েছে আলোচনা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ সকালে প্রথম বার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে অন্তত শ’খানেক বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমারের ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত। জলপথে এবং আকাশপথেও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর এই ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেওয়ার সাইবার হামলার শিকার হল ভারত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন জিপিএস স্পুফিংয়ের জেরে বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত। তবে যেহেতু এই ঘটনা ভিন দেশের আকাশসীমায় ঘটেছে তাই তদন্ত করা বেশ সমস্যার।