তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে ভারত: রাষ্ট্রপতি
India on track to become third largest economy: President

Truth Of Bengal: শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন ২০২৫। অধিবেশন চলাকালীন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর ভাষণে কেন্দ্র সরকারের সাফল্য উল্লেখ করেন। সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ভারত শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প এবং সেগুলির ফলে হওয়া পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সবার জন্য ঋণ ও বিমা সহজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ এসেছে, তরুণদের কর্মসংস্থান হয়েছে মোদি সরকারের আমলে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘আমাদের সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে উন্নয়নের লক্ষ্যে। যার সুফলও দৃশ্যমান। বিদেশ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ আসছে এবং এর ফলে দেশের তরুণরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।’ তাঁর ভাষণে তিনি সংবিধান গ্রহণের ৭৫ বছর পূর্ণ কথাও উল্লেখ করেছেন, এর পাশাপাশি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে রেল প্রকল্পের সমাপ্তিকে একটি বড় অর্জন বলে বর্ণনা করেছেন। এর পাশাপাশি এভিয়েশন সেক্টরেও বড় ধরনের উত্থানের প্রসঙ্গ টেনেছেন মুর্মু।
তিনি যে সব বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলি হল-
- এমএসএমই-এর জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম।
- মুদ্রা ঋণ ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষে উন্নীত হয়েছে।
- ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
- ইন্টার্নশিপ স্কিম যুবকে শক্তিশালী করেছে।
- নারীর ক্ষমতায়ন।
- ৮,০০০ কোটি টাকা খরচ করে দেশে ৫২,০০০ ইলেকট্রিক বাস চলবে।
- অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন।
- ট্যাক্স সংক্রান্ত নিয়ম সরলীকরণ।
- ভারত এআই নিয়ে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে।
- দেশের মহিলারা আজ ফাইটার প্লেন চালাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘দেশের গরিবরা সম্মান পেয়েছে সরকারি প্রকল্পের কারণে। এছাড়াও কেন্দ্র বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এর উদাহরণ হল আজ মহিলারাও ফাইটার প্লেন চালাচ্ছে। এসব বড় অর্জনের পাশাপাশি আমাদের সরকারের চালু করা প্রকল্পগুলির প্রভাব স্বাস্থ্যসেবা-সহ বিভিন্ন খাতে দেখা গিয়েছে, যা দেশের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে। আমাদের সরকার বিশ্বাস করে যে ১৪০ কোটি দেশবাসীর সেবা করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব এবং এ লক্ষ্যে কাজ করছে। ১০ বছরে বিমানবন্দরের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আদিবাসী অঞ্চলে ৩০টি মেডিক্যাল কলেজ খোলা হয়েছে। যার সুবিধা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ পাচ্ছেন। উত্তর-পূর্বের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করা হয়েছে এবং দলিত বঞ্চিত সমাজ সরকারী প্রকল্পগুলি থেকে ভালভাবে উপকৃত হয়েছে। আমাদের সরকারের আমলে বিশেষভাবে সক্ষমরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। বিশ্বনেতা হিসাবে ভারত তার চিহ্ন তৈরি করেছে। আজ, জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং ৩৭০-এর অপসারণ বৃদ্ধিকে গতি দিয়েছে। আমাদের একটিই সংকল্প এবং একটিই লক্ষ্য- ‘উন্নত ভারত’।’