দেশ

পয়লা এপ্রিল থেকে দাম বাড়ছে অতি প্রয়োজনীয় ৮০০টি ওযুধের

Medicine price

The Truth of Bengal: পয়লা এপ্রিল থেকে দাম বাড়ছে অতি প্রয়োজনীয় ৮০০টি ওযুধের। জানিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি। পাইকারি মূল্যসূচকের বিচার করেই প্রতি বছর ওযুধের মূল্য নিয়ন্ত্রন সংস্থা এই দাম বৃদ্ধি করে। কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের। গত বছরই ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল একাধিক ওধুধের দাম। ২০২২ সালে বৃদ্ধি হয়েছিল ১০ শতাংশ। ২০২৪-এ সেই দাম আবারও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর খানিকটা কম বৃদ্ধি পেয়েছে ওষুধের দাম।

প্রসঙ্গত, পাইকারি মূল্য সূচকের নিরীখে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা প্রতি বছরই এই দাম বৃদ্দি করে থাকে। তাই ১ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার সহ প্রায় ৮০০টি ওযুধের দাম বাড়তে চলেছে। এমনটাই জানিয়েছে, জাতীয় ওষুধ মূল্য নির্ধারণ সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি। দিন কয়েক আগেই ফার্মা সংস্থাগুলি শাসকদল বিজেপির নির্বাচনী বন্ডে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে খবর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সেই বিপুল টাকা তুলতে ওষুধের দাম বাড়ানোর সুযোগ যে করে দেওয়া হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

এনপিপিএ সূত্রে খবর, জরুরীভিত্তিক তালিকায় থাকা ওযুধের দাম বাড়ছে 0.00৫৫ শতাংশ। এছাড়াও প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন সহ বেশ কিছু স্টেরয়েড ও ভিটামিন ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মত এই বছর তুলনামূলকভাবে ওষুধের দাম কম বৃদ্ধি পেয়েছ। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। তবে বাস্তব ছবিটা একেবারেই আলাদা। নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন সুগার, প্রেশার ও জ্বরের ওষুধের দাম অন্ততপক্ষে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়াতেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। আর সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছে, কেন্দ্র ও ফার্মা কোম্পানি।