“মাথানত করবো না”, পাকিস্তানকে সোজাসাপটা উত্তর জয়শঙ্করের

Truth Of Bengal: পরমাণু হামলা হুমকি প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের। বলতে গেলে, রীতিমত কড়া বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কি বলেছেন তিনি? বিদেশমন্ত্রীর সাফ কথা, এমন ব্ল্যাকমেলিংয়ের সামনে কোনভাবেই মাথানত করবেনা ভারত। এখানেই শেষ নয়, আরো বড় মন্তব্য করেন তিনি। জয়শংকর স্পষ্ট জানান যে যাঁরা সাহায্য করছেন সন্ত্রাসবাদকে, তাঁদের এর বড় মূল্য দিতে হবে। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেন যে সন্ত্রাসবাদে মদতকারীদের পরিণতি ভয়ংকর হবে।

উপত্যকার পহেলগাঁওতে ভারতীয় পর্যটকদের উপর পাক জঙ্গিদের হামলা এবং হত্যা করা ক্ষুব্ধ করেছিল গোটা দেশকে। পরিস্থিতি এতটাই উগ্র হয় যে শেষ পর্যন্ত অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে শত্রুদেশে হামলা চালান সশস্ত্র বাহিনী। রীতিমতো ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের একাধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন জঙ্গি ও পাক সেনা। অবশেষে পাকিস্তানের কাতর অনুরোধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় ভারতের তরফ থেকে। তবে এখনো সেই যুদ্ধের মতো পরিবেশ রয়েই গেছে।

এবার এই ব্যাপারে গুজরাটের ভদোদরায় এক অনুষ্ঠান থেকে বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি নিজের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন যে জঙ্গিদের যেভাবে জবাব দেওয়ার দরকার, সেভাবে দেবে ভারত। পাশাপাশি, এটাও বুঝিয়ে দেন যে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করে দেশের সঙ্গে কেউ যদি বেইমানি করে, তাঁর পরিণতি ভয়ংকর হবে। এদিন বিদেশমন্ত্রীর কথা শুনতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ।

জয়শঙ্কর বলেন, “পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার মাধ্যমে একটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল পর্যটন অর্থনীতিকে ধ্বংস এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করার। এর জবাব দেওয়া দরকার ছিল। তাই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসী কমান্ড সেন্টারগুলি। যারা সন্ত্রাসবাদকে সাহায্য করে এবং নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।” এরপরই পারমানবিক হামলা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “আমরা এসবের সামনে কখনোই মাথানত করবোনা। দেশের স্বার্থে যা করার দরকার, তা করা হচ্ছে এবং চলবে। অন্যান্য দেশ আমাদের কথা বুঝেছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা অধিকারের ব্যাপারে। বেশ ভালো লাগছে এটা দেখে।” প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সফল বললেও বিরোধীরা তা মনে করছেনা। কংগ্রেস সংসদ জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন যে সিঁদুরকে ঢাল বানিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবার দেখার বিষয় যে আগামী দিনে এই অধ্যায় কোনদিকে যায়।