দেশ

বিবাহিত হয়েও লিভ-ইন সম্পর্ক রাখা আইন সম্মত নয়,সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট বার্তা হাইকোর্টের

Having a live-in relationship while married is not legal

The Truth of Bengal: বিয়ের পর সম্পর্ক রাখা নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।বিশেষ করে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তৃতীয় জনের সঙ্গে লিভ-ইন করা যাবে কিনা তা নিয়ে যেমন নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে,তেমনই আবার আইনি লড়াই জোরদার হয়েছে।এরমাঝে পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট  মতপ্রকাশ করল।হাইকোর্টের স্পষ্ট বক্তব্য, বিবাহিত হয়েও তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করলে মা – বাবা ও পরিবারের সম্মানে আঘাত লাগে। তাই এই সম্পর্কের বিন্যাস বা সহবাসসঙ্গী কে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, আবেদনকারীরা  স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জন করতে গিয়ে কোনওভাবেই বাবা – মায়ের সসম্মানে বাঁচার অধিকার হরণ করতে পারে না।

উল্লেখ্য,৪০-এর বেশি এক মহিলা তাঁর লিভ-ইনের সঙ্গী এক ব্যক্তির আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে যান।তিনি আইনি রক্ষাকবচ চান। আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল,তাঁদের লিভ-ইন সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিবার।জানা যায়, সন্তানের মা ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্ন হলেও তাঁর পুরুষসঙ্গীর স্ত্রী ও সন্তান আছে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বিবাহিত হয়ে লিভ-ইন সম্পর্ক রাখা কখনই আইন সম্মত নয়।পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দীপ মুদগল তাঁর পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার উল্লেখ রয়েছে, সেখানে যেকোনও ব্যক্তিকে সসম্মানে বাঁচতে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে আদালত সামাজিক সম্মানের মতোই পারিবারিক বিষয়কে ফোকাস করেছে।বলা হয়েছে, আবেদনকারীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পরিবারের বদনাম হচ্ছে।সেই সঙ্গে  সম্পর্কের এই নয়া রসায়নের জন্য তাঁদের বাবা – মায়ের সসম্মানে বাঁচার অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলেও বিচারপতি মন্তব্য করেছেন। এই অবস্থায় ৩ জোড়া  সঙ্গীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করেন বিচারপতি।