হাড়হিম ঘটনা! স্ত্রীর মুণ্ডু কেটে চামড়া ছাড়াল স্বামী!
Harhim incident! Husband cut his wife's head and skin!

The Truth Of Bengal : অপরাধ ছিল রাতের খাবার দিতে দেরি করা। এই অপরাধের শাস্তি কি হয়েছিল জানেন? শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। স্ত্রী রাতের খাবার দিতে দেরি করছিলেন। তাই রাগের চোটে স্ত্রীর ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে দিলেন খোদ স্বামী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল এতেও রাগ কমেনি গুণধর স্বামীর। পরে রাগ কমাতে স্ত্রীর শরীর থেকে ছাড়াতে থাকেন চামড়া। এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের তুমকুরেতে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, রাতে স্বামী বাড়িতে ফিরেই খাবার চেয়েছিলেন স্ত্রীর কাছে। কিন্তু স্ত্রী খাবার দিতে অস্বীকার করায় রাগে, ক্ষোভে স্ত্রীর গলায় কাস্তের কোপ বসালেন স্বামী। কুপিয়ে একেবারে ঘর থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেন তিনি। আর এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি গুণধর স্বামী। শরীর থেকে টেনে আলাদা করে চামড়া।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় গোটা ঘর রক্ত ভরে রয়েছে। মেঝেতে পড়ে রয়েছে এক মহিলার মৃতদেহ। হাতের শিরা ও পেটের নাড়িভুড়ি একেবারে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। মৃতদেহর পাশে পড়ে রয়েছে কাটা মুন্ডু এবং ছাড়িয়ে রাখা চামড়া। সবকিছু দেখে ওই যুবককে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শিবরামা। তিনি একটি কারখানায় কাজ করতেন। আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো। অবশেষে গতরাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র বচসা। খাবার দিতে অস্বীকার করেন স্বামীকে। এরপরই চরমে ওঠে অশান্তি। রাগের বসে স্ত্রীকে প্রথমে ছুরি দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন স্বামী। মাথা থেকে দেহ আলাদা করতে কাস্তের খুব বসাতে থাকেন তিনি। এরপর তাতেও রাগ না কমায় দেহ থেকে চামড়া আলাদা করতে শুরু করেন। গোটা ঘটনার সময় অভিযুক্তের আট বছরের ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। সম্পূর্ণ ঘটনায় আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারসহ গোটা এলাকায়।