হার্ভার্ডে ভারতীয় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! মোদী-জয়শঙ্করের নীরবতায় কটাক্ষ কংগ্রেসের
Future of Indian students at Harvard uncertain! Congress takes a dig at Modi-Jaishankar's silence

Truth Of Bengal: বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে বস্টনের একটি ফেডারেল আদালত। তবুও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘ জমেছে হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ঘিরে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি জানান, হার্ভার্ডে বর্তমানে প্রায় তিন লক্ষ ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। এত বড় সংকট সত্ত্বেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ বিষয়ে একটিও কথা বলেননি।
এই প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘ ট্রাম্পের উদ্দেশ্য জলের মতো পরিষ্কার। হার্ভার্ড নিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর চিন কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একেবারে চুপ। ভারতীয় পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের প্রতি কেন্দ্রের এই উদাসীনতা দুর্ভাগ্যজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ভারতীয় অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের হার্ভার্ডে পাঠিয়েছেন। এখন সেই স্বপ্ন ধ্বংসের মুখে।’
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইজরায়েল-বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে সহমত পোষণ করে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভ ট্রাম্পের প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়। ‘ইহুদি বিদ্বেষ’ ছড়ানোর অভিযোগে হার্ভার্ডসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর নির্দেশনা পাঠায় প্রশাসন।
দশ দফা নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠানো হলেও হার্ভার্ড তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয়— শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ২০০ কোটি টাকার অনুদান বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় হার্ভার্ডের বেশ কিছু গবেষণা প্রকল্প বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং করছাড়ের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছে। এ নিয়েও ক্ষুব্ধ ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ হার্ভার্ড এখন ইহুদি-বিরোধী এবং কমিউনিস্টদের আখড়া হয়ে উঠেছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর কেন্দ্রীয় চাপের এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রশ্ন উঠছে।