দেশরাজনীতি

তেলেঙ্গানার ভোটযুদ্ধে শুধুই মিলছে প্রতিশ্রুতির বন্যা

Telengana Election

The Truth of Bengal: ৩০ নভেম্বর তেলেঙ্গানায় ভোট। টানা দশ বছর তেলেঙ্গানায় ক্ষমতায় কেসিআরের দল -ভারত রাষ্ট্র সমিতি। দীর্ঘদিন চন্দ্রশেখর রাও ক্ষমতায় থাকায় সেরাজ্যে বইছে জোরদার প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। তার ওপর রোজই একের পর এক দলের নেতা বিরোধী শিবিরে নাম লেখানোয় কেসিআরের চাপ বেড়েছে। কেসিআরকে প্যাঁচে ফেলতে পদ্ম শিবির এজেন্সিকে দিয়ে তাঁর কন্যা কবিতাকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করেছেন বিআরএস। এবার লড়াই যে কঠিন হবে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তেলেঙ্গানার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষাতেও ১১৯ আসনের বিধানসভায় পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে চন্দ্রশেখর রাও কল্পতরু হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিআরএস আবার সরকার গঠন করলে রাজ্যবাসীকে ৪০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ৯৩ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কে.চন্দ্রশেখর রাও। কংগ্রেসও বিআরএসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পাল্টা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কংগ্রেস ঘোষণা করল সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন খাতে তারা বিপুল বরাদ্দ করবে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, তেলেঙ্গানায় তাঁরা ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে জাতি গণনা করা হবে। সংখ্যালঘুরা যাতে কাজ, শিক্ষা এবং সরকারি সুবিধা পায় সেদিকে নজর রাখবে কংগ্রেস সরকার। এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সংখ্যালঘু বেকার মহিলাদের জীবনের মাণোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের এই ঘোষণার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী বিজেপি শিবির জানিয়েছে, দেশ স্বাধীনতার লাভের পর থেকে কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি। আর এখন ভোট টানতে ভেট দেওয়ার চেষ্টা করছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে তেলেঙ্গানায় মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ১২.৭ শতাংশ। রাজ্যের শাসক দল মুসলিমদের জন্য ১২ শতাংশ সংরক্ষণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যদিও তাঁরা সেটা রাখতে পারেনি। তেলেঙ্গানায় এসে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন,   চার শতাংশ মুসলিম কোটা তাঁরা ক্ষমতায় এলে তুলে নেবেন। সেখানে কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের কল্যাণে এই নয়া চাল দেওয়ায় বিজেপির মতোই বিআরএসের চাপ বাড়ল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তত্ব বলছে, বিজেপি যখন হিন্দুত্বের ভোট এককাট্টা করতে চায়, কংগ্রেস–বিআরএস তখন সর্বধর্ম সমন্বয়ের পথে ভোট বৈতরণী পার হতে যায়। এখন ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের টক্কর সত্ত্বেও বিজেপির জমি শক্ত হওয়া বেশ চ্যালেঞ্জের বলেই অনেকের অভিমত।

Free Access