সীমা হায়দারকে মনে আছে তো? জানুন পাকিস্তানের নতুন প্রোপাগান্ডা
Do you remember Seema Haider? Know the new propaganda of Pakistan

The Truth Of Bengal : পাকিস্তানি প্রোপাগান্ডার শিকার হল সীমা হায়দার। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সীমা হায়দার নামে এক মহিলা যিনি তার চার সন্তান কে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপালে অনুপ্রবেশ করেছিলেন সচিনকে ভালোবেসে। সেই সীমার গালে, মুখে এবং হাতে রয়েছে চোটের নিশানা। ভিডিওটির দ্বারা বোঝানো হয়েছিল সীমার স্বামী তার ওপরে শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এই ভিডিওর সত্যতা সামনে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। খোদ সীমাই তার স্বামী সচিনের সাথে একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি পোস্ট করে ঘটনাটির সত্যতা জানিয়েছেন।
সীমা এবং সচিন দুজনেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, তাদের দাম্পত্য জীবন অত্যন্ত সুখ শান্তিতে সমৃদ্ধ। পরিবারও তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। সীমা নিজেই জানান,” কিছু পাকিস্তানি সংবাদ সংস্থা রমজানের পবিত্র মাসে কিভাবে কুৎসা রটাতে পারে? তারা কেন বুঝতে পারছেন না আমি এখন ভারতেই রয়েছি। কেন তারা চাইছে আমাদের নামে এই কুৎসা রটাতে? তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ কেউ এই ভুয়ো ভিডিওটি বিশ্বাস করবেন না। কিছুই ঘটেনি আমার সাথে। আমি অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছি।”
এরপর প্রকাশ্যে আসে আরও একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে আগের সীমার আইনজীবী এপি সিং পাকিস্তানি ইউটিউবার এর ওপর সীমার ফেক ভিডিও বানানোর জন্য তার নামে অভিযোগ করেছেন।
এবারে যারা সীমাকে চেনেন না তাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কে এই সীমা? শুরুতেই জানিয়ে রাখা ভালো সিমা হল নিজের ভালোবাসা অর্থাৎ সচিনের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে আসা এক লড়াকু মহিলা। ভালোবাসার টানে পাকিস্তান ছেড়ে সচিনের হাত ধরে নেপালে এসেছিলেন এই মহিলা। সামাজিক মাধ্যমে তাদের হয় বাক্যালাপ। পরবর্তীকালে তা গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। এরপর ভারতে এসে দুজন দুজনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নেপাল থেকে সহজভাবে ভারতীয় দম্পতির সেজে সীমাহায়দার ও সচীন খোলাস সীমান্ত পার করে ভারতে আসেন। পরবর্তীকালের সীমার আসল পরিচয় জানা গেলে হকচকিয়ে ওঠে ভারত সরকার। বেশ কয়েকদিন টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দা বিভাগ সীমাকে তার স্বামী সতীনের সাথে থাকার ছাড়পত্র দেয়।
সীমা যেভাবে নেপাল থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন গোয়েন্দা বিভাগ। কারণ নেপাল ও ভারতের খোলার সীমান্ত দিয়ে যে কেউ বিনা ভিসায় যাতায়াত করতে পারে। পরে গোয়েন্দা বিভাগের দাবি এতে ভারতীয় অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার ক্ষতি হচ্ছে।
সীমা যার সন্তানকে সাথে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে একটি ছেলে যার নাম ফারহান আলী, এখন তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজ। তার বয়স মাত্র ৮ বছর। এছাড়া সীমার তিন মেয়ে ফারওয়া নাম পরিবর্তন করে হয়েছে প্রিয়াঙ্কা, ফারিহা বাটুল পরিবর্তন করে হয়েছে মুন্নি, এছাড়াও ফারহা বাটুলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে পরী।