দেশ
Trending

ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল, বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

Death toll rises to 200 on Wednesday, rescue operation continues despite rain

The Truth Of Bengal: ওয়েনাডে ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও চলছে উদ্ধারকাজ। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকার্য পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫ জন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।
ওয়েনাডে মৃত্যু বেড়ে ২০৫, ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে মৃতদেহ। উদ্ধারকাজে গতি আসতেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কেরলের ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০৫। এখনও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। বিপর্যস্ত এলাকা এখনও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে আছে। কাদা সরিয়ে উদ্ধার করা হচ্ছে মৃতদেহ। উদ্ধারে প্রথমে নামানো হয়েছিল সেনা বাহিনীকে। পরে নামানো হয় নৌসেনা ও বায়ুসেনাকেও। সেনার তিন বাহিনী একযোগে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

টানা গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে কেরলের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি ওয়েনাডেও। প্রবল বৃষ্টির জন্য ধস নামায় চাপা পড়ে বহু মানুষ। প্রথমে ওয়েনাড জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস নামার খবর পাওয়া যায়। পড়ে অন্য একটি জায়গায় নামে ধস। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামানো হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা এলাকায়।

ওয়ানড়ের কালপেট্টা থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেপ্পাদির পাহাড়ি অঞ্চলের একাধিক পাহাড়ে ধস নামে। আশেপাশের বাড়ি ও দোকানের মধ্যে জল-কাদা ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভেসে যায় রাস্তা, সেতু। ধসের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে গ্রামের পর গ্রাম। এই ঘটনায় এলাকায় অন্তত ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খবর নেন। এর পরই দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে নামে সেনার তিন বাহিনী।

এনডিআরএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা বাহিনী। পাশাপাশি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের সাহায্যে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের নীচে যারা আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে ভারী বৃষ্টির ফলে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। বায়ু সেনার পাশাপাশি নৌবাহিনীও উদ্ধারকাজে গতি আনতে হাত লাগিয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যারা নিখোঁজ আছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের বাসিন্দা আছেন বলে জানা যাচ্ছে। যারা চা ও কফি বাগানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

Related Articles