Big Breaking : ছত্তিশগড়ে মাও-ঘাঁটি ধ্বংস, তুমুল গুলির লড়াই, ১২ জন মাওবাদীকে গুলি করে হত্যা
Chhattisgarh Mao-Ghanti Chatti, Fierce Contested Fight, 12 Maoists Shot

The Truth Of Bengal : মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই হয়। এই গুলির লড়াইয়ে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়। সেই ছত্তিশগড়েই ফের নিরাপত্তা বাহিনীর সাফল্য। মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ১২ জন মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার পিদিয়া থানার আওতাধীন গাঙ্গালুর এলাকায় এই সাফল্য দেখিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে খবর গত এক সপ্তাহে এটি দ্বিতীয় বড় সাফল্য। বিজাপুরের এসপি জিতেন্দ্র কুমার যাদব জানিয়েছেন পিদিয়ার জঙ্গলে প্রায় দেড়শ মাওবাদী জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী । দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই চলে।
এসপি জানিয়েছেন, পশ্চিম বস্তার বিভাগের পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির সদস্যরা জড়ো হয়েছিল সেখানে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর, সুকমা, বস্তার, দান্তেওয়াড়াএই এলাকা গুলিতে মাওবাদীরা সক্রিয় রয়েছে। তাদের মোকাবিলাই সেখানে মোতায়েন রয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, কোবরা এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। পিদিয়ার জঙ্গলে মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর মাত্রই নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে অংশ নেই ৪০০-র বেশি জওয়ান। মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে চতুর্দিক থেকে অভিযান চলে। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। ওই জঙ্গলের ভিতরে বেশ কয়েকটি মাওবাদী ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান শেষে বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ঘটনাস্থল থেকে ১২ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই অভিযান সেরে ফেরার পথে আইডি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন একজন ডিআরজি জওয়ান। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে যে অঞ্চলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে সেটি ছিল মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল। মাওবাদীরা ট্রানজিট রুট হিসাবে ওই এলাকাকে ব্যবহার করত। মাওবাদীদের কার্যকলাপ রুখতে ধারাবাহিক অভিযান চলছে ছত্তিশগড়ে। চলতি বছরে ১০৩ জন মাওবাদীকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৯ সালের থেকে সংখ্যাটা অনেক বেশি।