দেশ

বিজেপি ‘অপারেশন লোটাস’ চালাচ্ছে দিল্লিতে, অভিযোগ কেজরির

BJP is running 'Operation Lotus' in Delhi, alleges Kejriwal

Truth Of Bengal: বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লিতে অপারেশন লোটাস চালু করার অভিযোগ তুললেন আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকা বিকৃত করার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে অপারেশন লোটাস চালু করেছে বিজেপি। পাশাপাশি রবিবর সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, দিল্লি বিধানসভার ভোটে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি। কারণ, এখনও তাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্থির করা হয়নি।

এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে ইতিমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি। তাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী নেই, কোনও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই এবং কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রার্থী নেই। যে কোনও মূল্যে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য তারা ভোটার তালিকা বিকৃত করার মতো নানান অসৎ উপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। আমার নিউদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়েছে অপারেশন লোটাস। গত ১৫ দিনে অন্তত ৫,০০০ ভোটারের নাম মুছে ফেলার আবেদন জমা পড়েছে। তার সঙ্গে ৭,৫০০ নতুন ভোটারের নাম যুক্ত করারও আবেদন করা হয়েছে। মোট ১২ শতাংশ ভোটে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কেজরিওয়ালের অভিযোগ, সহদোরা কেন্দ্রে ১১,৮০০ ভোটারের নাম মুছে ফেলার আবেদন করেছে বিজেপি। তবে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাঁর দাবি, গত ২৯ অক্টোবর ভোটার তালিকা সংক্রন্ত বিষয় আলোচনা এবং পুনর্বিবেচনার সময় নিউদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে ১ লক্ষ ভোটারের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এইসমস্ত ভোটের ১২ শতাংশে অনিয়মের অভিযোগ তোলা নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতায় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

নিউদিল্লি কেন্দ্রে বাস করেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং এবং তাঁর পরিবার। সাংসদের স্ত্রীয়ের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আপ সুপ্রিমো। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, কোনও কেন্দ্রে ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দেওয়ার হার ২ থেকে ৪ শতাংশের বেশি হলেই সেগুলি খতিয়ে দেখা এবং পুনর্বিবেচনা করা দরকার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনেরই স্বাক্ষর থাকবে সেই সমস্ত ফাইলে, ফলে সেগুলি ভালভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কমিশনের। নাহলে তাদেরই এর দায় নিতে হবে।’

এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশি অভিযোগ করেন, নিজের বাসভবন থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করতে টাকা বিতরণ করছেন বিজেপি নেতা পরবেশ সিং ভার্মা। তবুও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস অভিযোগ করেনি, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আতিশি বলেন, ‘কেন পরবেশ ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি সন্দীপ দিক্ষীত। দিল্লি নিউদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে পারেন এবং তার আগে নিজে অর্থ বিতরণ করছেন। সন্দীপ দিক্ষীত বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি, অথচ আপের বিরুদ্ধে উপরাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছেন। উপরাজ্যপাল সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন।’ সন্দীপ দিক্ষীত বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে এদিন কেজরিওয়ালের অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লির সিইও জানিয়েছেন, নথিভুক্ত না হওয়া ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করেছেন বুথস্তরের আধিকারিকরা। ২০ আগস্ট থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পর্ব সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

Related Articles